শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসলে দেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ: শাওন
তৈয়বুর রহমান (তুহিন), চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি: শেখ হাসিনা এবার ক্ষমতায় আসলে ডিজিটাল বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ বলে মন্তব্য করেছেন ভোলা-৩ আসনের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন এমপি।
শাওন বলেন, ২০০১ ও ১৪ সালে সাধারণ জনগণের ওপরে বিএনপির সন্ত্রাস বাহিনী যেই নির্যাতন চালিয়েছে আপনারা কি সেই কথা ভুলে গেছেন? নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন আরো বলেন, স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর কন্যা শেখ হাসিনা সরকার প্রধান হওয়ায় মাঠে-ঘাটে নৌকার গণজোয়ার বইছে। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকাই দেশে সমৃদ্ধি উন্নয়ন এবং দেশ শান্তিতে আছে। সাধারণ মানুষের মুখে হাসি ফুটছে। গ্রামকে শহরে পরিণত করেছে। শেখ হাসিনা আবারও ক্ষমতায় আসলে বাংলাদেশের প্রতিটি উপজেলা হবে স্মার্ট উপজেলা এবং দেশ বিদেশে বাংলাদেশের সুনাম অর্জন হচ্ছে। এই উন্নয়ন এবং সুনাম ধরে রাখতে আগামী ৭ জানুয়ারি আপনারা নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে বিজয় নিশ্চিত করবেন।
আজ শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) লালমোহন উপজেলার ১০নং মোতাহার নগর ইউনিয়ের ১নং, ২নং ও ৩ নং ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ কর্তৃক আয়োজিত উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
লালমোহন ও তজুমদ্দিন উপজেলার প্রত্যেকটি ইউনিয়নের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ভোটের উৎসব চলছে। কেন্দ্রভিত্তিক আওয়ামী লীগ কর্তৃক আয়োজিত উঠান বৈঠকে নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন যাওয়ার সংবাদ শুনে রাস্তাঘাটে কয়েক’শ নেতাকর্মী জড়ো হয়ে যায়। দলে দলে বিভিন্ন এলাকা থেকে পূর্ব কর্মসূচি অনুযায়ী শুধু আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী নয়, কয়েক হাজার সাধারণ নারী-পুুরুষ উঠান বৈঠকে অংশ নেয়। উঠান বৈঠক জনসভায় পরিণত হচ্ছে।
এ সময় এমপি শাওন জনগণের উদ্দেশ্য করে বলেন, মিথ্যা প্রতিশ্রুতি নয় বাস্তব মাঠে উন্নয়ন দেখে নৌকা মার্কায় ভোট দিবেন। আপনাদের দাবি বাস্তবায়নে স্মার্ট উপজেলা করার যা যা দরকার আমি সবই সম্পন্ন করেছি। আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াত কখনো ভেদাভেদ করে রাখিনী। প্রতিহিংসার রাজনীতি পরিহার করে শান্তির রাজনীতি লালমোহন তজুমদ্দিনে ফিরিয়ে এনেছি।
অন্যদের মধ্যে উঠান বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন লালমোহন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফখরুল আলম হাওলাদার, লালমোহন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, জেলা পরিষদ সদস্য আনোয়ারুল ইসলাম রিপন, পৌর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম বাদল সহ বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও রাজনৈতিক অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা।