দীঘিনালায় ধর্ষণের পর কিশোরীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা, আটক ৩
সোহানুর রহমান, দীঘিনালা (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি: খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় ১৫ বছরের এক কিশোরীর লাশ উদ্বার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) ভোরে দীঘিনালা উপজেলার ১নং মেরুং ইউনিয়নে রশিকনগর খেলার মাঠে এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয়দের তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার ভোরে ৩ যুবককে আটক করে পুলিশ।
কিশোরীর বাবা আব্দুস সোবহান মাহিন্দ্রা চালক রশিকনগর এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা। আটককৃতরা হলেন- একই গ্রামের মোঃ কালামের ছেলে মোঃ ইয়াসিন (১৯), মোঃ জালাল মিয়ার ছেলে মোঃ সোহাগ (২০) ও মোঃ ইয়া রউফের ছেলে মোঃ শুক্কর (২৫)।
নিহত কিশোরী সালমা আক্তারের (১৫) মরদেহ বর্তমানে দীঘিনালা থানায় রাখা হয়েছে। সেখানে উপস্থিত কিশোরীর বাবা আব্দুস সোবহান বলেন, ‘আমার মেয়ে গ্রামের ৫০০ মিটার দূরে অনুষ্ঠিত মাহফিল শুনতে সন্ধ্যা ৭টায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। রাতে আর বাড়ি ফিরেনি। পরে মাহফিলের মাইকে ঘোষণা শুনে গ্রামের খেলার মাঠে মেয়ের লাশ পড়ে থাকতে দেখেছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘পারিবারিক শত্রুতা থেকে এ ঘটনা ঘটেছে। আটককৃত পরিবারের সাথে আমার দীর্ঘদিনের মামলাও চলছে। তারাই এ ঘটনা ঘটিয়েছে। মাটিতে পড়ে থাকা মেয়ের গলায় কালো দাগ ছিল।’
থানায় জীপের সামনে কান্নারত কিশোরীর বাবা বলেন, ‘দেড় বছর আগে ঐ পরিবারের ভয়ে আমার ২ মেয়ে পড়াশোনা বাদ দিয়েছিল, তবুও আমার মেয়ের শেষ রক্ষা হলো না। আমি এর সুষ্ঠ তদন্ত ও বিচার চাই। আর কোন বাবার বুক খালি না হোক।’
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে দীঘিনালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ নুরুল হক বলেন, ‘এ বিষয়ে মামলার রুজু চলমান রয়েছে। ঘটনাটি মধ্যরাতে ঘটেছে। পুলিশ লাশ উদ্ধারের পর স্থানীয় তথ্যের ভিত্তিতে তিনজনকে আটক করেছে। তাদের থানায় জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। আমরা ঘটনার মূল রহস্য বের করার চেষ্ঠা করছি। প্রাথমিকভাবে সন্দেহ করছি যে, কিশোরীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত বলা যাবে।’