রায়গঞ্জে শাকিল হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন, গ্রেফতার ২
রায়গঞ্জ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে অটোভ্যান চালক শাকিল (২৫) হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন শেষে মামলার ৩ জন আসামির মধ্যে ২ জন আসামিকে পুলিশ গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বেলা ১২ টায় রায়গঞ্জ থানা পুলিশের এক প্রেস রিলিজের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করে বক্তব্য দেন সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (রায়গঞ্জ সার্কেল) বিনয় কুমার।
তিনি তার বক্তব্যে বলেন, শাকিল হত্যাকান্ডের পর ঐ দিন তার পিতা জহুরুল ইসলাম বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। ঘটনার সাথে জড়িত ৩ জনের মধ্যে পরদিন ২৪/১০/২০২৩ইং তারিখে নিজ বাড়ী থেকে পুলিশ ফিরোজ (২৩) কে আটক করে জেলে প্রেরণ করেন। গ্রেফতারকৃত ফিরোজ বগুড়া জেলার শেরপুর থানার নাকুয়া গ্রামের সোলেমানের ছেলে।
এরপর রায়গঞ্জ থানা পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় তদন্তকারী অফিসার আব্দুল মজিদ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঢাকার বাড্ডায় অভিযান চালিয়ে ২৮ এপ্রিল রবিবার রাতে উক্ত হত্যা মামলার আসামি আশিক (১৯) কে গ্রেফতার করে রায়গঞ্জ থানায় আনে। গ্রেফতারকৃত আসামি আশিক বগুড়া জেলার জেলার শেরপুর থানার নাকুয়া গ্রামের বাদশা সেখ ছেলে। তবে অপর আরেক আসামি মোমিনকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
প্রেস রিলিজকালে উপস্থিত ছিলেন থানার ওসি হারুন অর রশিদ, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আব্দুল মজিদ প্রমূখ।
সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (রায়গঞ্জ সার্কেল) বিনয় কুমার আরও জানান, শাকিল হত্যাকান্ডের গ্রেফতারকৃত আসামি আশিক জানান, সহপাঠী ফিরোজ ও মোমিন মিলে আমরা ৩ জন পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী চান্দাইকোনা বাজার থেকে দূর্গাপুজা দেখার উদ্দ্যেশে অটোভ্যান ভাড়া করে চালক শাকিলকে নিয়ে মথুরাপুর বাজারে যাওয়ার সময় কোল্ড ড্রিংস এর সাথে চেতনানাশক ঔষধ মিশিয়ে তার ঘুমের ভাব হলে তাকে অটো ভ্যানের যাত্রী সাজিয়ে তাকে হাত, পা ও মুখে গামছা দিয়ে বেঁধে উপজেলার ফুলজোড় নদীর চান্দাইকোনাতে নিয়ে পানিতে ডুবিয়ে শ্বাসরোধ করে মৃত্যু নিশ্চিত করে ফেলে রেখে আমরা চলে যাই।