বিএনপির স্থানীয় সন্ত্রাসীর হামলায় গুরুতর আহত ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি হাজী মো. নাঈম ভূইয়া
নারায়নগঞ্জ প্রতিনিধি: নারায়নগঞ্জের আড়াইহাজার থানাধীন ভ্রামন্দী ইউনিয়নের মনোহরদী গ্রামে সন্ত্রাসীদের হামলায় গুরুতর আহত হন ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সিনয়ির সহ-সভাপতি হাজী মো: আবু নাঈম ভুইয়া। গত শুক্রবার ০৩/০৫/২০২৪ আনুমানিক রাত ৯ টার ঘটিকার সময় বিএনপির স্থানীয় সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী ১. ইব্রাহিম ওরফে ইবলিশ (৫৫), পিতা মৃত. আ: মজিদ ২. মো. নুরে আলম (৩৫), পিতা মো: ইব্রাহিম (ইবলিশ) এবং অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন সন্ত্রাসী বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র, রামদা, লোহার রড ও বাঁশের লাঠিসোটা নিয়ে হঠাৎ তার বসত বাড়ীতে আক্রমন চালায়।
এই অবস্থায় হাজী মো: নাঈম ভুইয়া বসত বাড়ীর ভিতর থেকে তালাবদ্ধ করে রাখে। সন্ত্রাসীরা বাহির থেকে তার বাড়ীতে ঢুকতে না পেরে বাড়ীর লোকজনকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে এবং প্রাননাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়। পরের দিন হাজী মো: নাঈম ভুইয়া বাজার থেকে বাড়ী ফেরার সময় মনোহরদী পুরুষ মাদ্রাসার ১০০ মিটার সামনের পাকা রাস্তার উপর আনুমানিক সকাল ৯.৩০ ঘটিকায় বিএনপির স্থানীয় সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী ইব্রাহিম ওরফে ইবলিশ (৫৫) ও তার ছেলে মো. নুরে আলম (৩৫) এবং অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন সন্ত্রাসী মিলে বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র, রামদা, লোহার রড দিয়ে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাথারি মারতে থাকে এবং এক পর্যায়ে রডের আঘাতে তার সামনের দুটি দাঁত পরে যায়, ঐ মুহুর্তে রক্তাক্ত অবস্থায় হাজী মো: নাঈম ভুইয়ার স্ত্রী হাজের আক্তার (৫২) লোকজন নিয়ে নিকতস্থ আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান এবং সেখানে দায়িত্বরত ডাক্তার তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলে।
অত:পর মোঃ ইব্রাহীম এবং নুরে আলমসহ অজ্ঞাত আরো ৪/৫ জনের নামে থানায় এজাহার দায়ের করে হাজী মো: নাঈম ভুইয়ার ছেলে।
উল্লেখ্য যে, ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনের পর বালিয়াপাড়ায় এবং মনোহরদীতে তৎকালীন ছাত্রলীগ, আওয়ামীলীগের বিভিন্ন নেতাকর্মীদের বাড়ীঘর ভাংচুর ও হামলা চালায়। বিএনপির স্থানীয় সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী ইব্রাহিম ওরফে ইবলিশ এর ভয়ে বালিয়াপাড়ার স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা দীর্ঘদিন বাড়ীছাড়া ছিল।