ওসমান হারুনী, ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি: হোস্টেলে সীট ও খাবার বাণিজ্যসহ শিক্ষার্থীদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণের জন্য ‘মোখলেছ হটাও, আইএইচ টি বাঁচাও’ দাবীতে জামালপুরের ইসলামপুর শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজির লেকচারার ডা. শাহ মো: মোখলেছুর রহমানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা।
রবিবার জেলার ইসলামপুর শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজির ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীরা এই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে।
বিক্ষোভ চলাকালে কলেজের ৪র্থ, ৫ম এবং ৬ষ্ঠ ব্যাচের শিক্ষার্থী কৌশিক, মেহেদী হাসান, আতিক কাওসার ও বৈশাখী আক্তারসহ শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ইসলামপুর শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজির লেকচারার মোখলেছুর রহমান এই কলেজে খন্ডকালীন হিসাবে যোগদান করার পর থেকে পাঠদানে অবহেলা, হোস্টেলের সীট ও খাবার বাণিজ্যসহ নানাভাবে শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে রেখেছেন। কলেজের ক্লাসে ২-৩ ঘন্টা সময় নষ্ট করলেও ১০ মিনিটের বেশী পাঠদান করেন না। ক্লাসে দুনিয়াবী কথা বলে শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করেন। হোস্টেলের ছাত্রীদের নিয়ে দেহ ব্যবসাসহ নানা কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য ও কথা বলেন। এর প্রতিবাদ করলেই শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় নাম্বার কম, সাইলেন্ট এবসেন্ট, ফেল, ছাত্রত্ব বাতিল, হোস্টেলের সীট বাতিলের হুমকিসহ অভিভাবকদের ডেকে এনে শিক্ষার্থীদের নিয়ে নানান মন্তব্য ও হয়রানী করা হয়।
এছাড়াও হোস্টেল সুপার রবিউল ইসলামের যোগশাজসে হোস্টেলের খাবার মিলে সরাসরি হস্তক্ষেপের মাধ্যমে নিজের পছন্দ মিল ম্যানেজার র্নিধারণ করে মিলের টাকা আত্মসাত করেন ডা.মোখলেছুর রহমান। শিক্ষার্থীর খাবার না খেলেও মাসিক খাবারের টাকা গুণতে হয়। শিক্ষার্থীদের ঠিকমত পাঠদান না করে হোস্টেলের কিভাবে টাকা মেরে নিম্নমানের খাবার দেওয়া যায় এই হিসাব নিয়ে ব্যস্ত থাকেন তিনি। কলেজটিতে আউট সোর্সিংয়ের মাধ্যমে আয়া, বুয়া, বাবুর্চিদের বেতন থাকা সত্বেও প্রতিমাসে ১শত টাকা করে ৪০ হাজার টাকা উত্তেলন করা হয়।
ক্যাম্পাসে প্রিন্সিপাল থাকলেও তিনিও নিজেকে অঘোষিত প্রিন্সিপাল হিসাবে মনে করে মনগড়াভাবে সরকারি ছুটি বাতিলসহ শিক্ষার্থীদের দিবস পালনে বাঁধা দিয়ে থাকেন। কলেজের জুনিয়রদের নিয়ে সিনিয়র ভাই ও আপুদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন উস্কানিমূলক কথা বলে কলেজের পরিবেশ নষ্ট করার পায়তারা করেন তিনি।
ডা. শাহ মো: মোখলেছুর রহমানের এহেন কর্মকান্ডে অতীষ্ঠ হয়ে শিক্ষার্থীরা গত দুইদিন ধরে আন্দোলনে ডাক দিয়ে কলেজের সুষ্ঠ পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে অবিলম্বে কলেজের ক্যাম্পাস থেকে মোখছুর রহমানকে বহিস্কারের দাবী জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে ডা. শাহ মো: মোখলেছুর রহমানের সাথে মুঠোফেনে কথা হলে তিনি উপরোক্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।