ফিলিস্তিনিদের অধিকার প্রতিষ্ঠা ছাড়া মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি সম্ভব নয়, জাতিসংঘে মাহমুদ আব্বাস

ফিলিস্তিনিদের পূর্ণ অধিকার প্রতিষ্ঠা পেলেই মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি সম্ভব হবে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী মাহমুদ আব্বাস। বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ভাষণে এ মন্তব্য করেন তিনি।
সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
মাহমুদ আব্বাস বলেন, যারা মনে করেন যে ফিলিস্তিনি জনগণের পূর্ণ অধিকার অর্জন ছাড়াই মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি বিরাজ করবে, তারা ভুল ভাবছেন।
ফিলিস্তিনিদের পূর্ণ অধিকার প্রতিষ্ঠা পেলেই মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি সম্ভব হবে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী মাহমুদ আব্বাস। বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ভাষণে এ মন্তব্য করেন তিনি।
এসময় সৌদি আরব ও ইসরাইলের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে যুক্তরাষ্ট্র জোর চেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। তবে এর মধ্যদিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি আসবে না বলেও সতর্ক করেন মাহমুদ আব্বাস।
ভাষণে ২০১৪ সালের পর থেকে বন্ধ হয়ে যাওয়া ইসরাইল-ফিলিস্তিন শান্তি আলোচনা পুনরায় চালু করতে জাতিসংঘ মহাসচিবকে কার্যকর ভূমিকা নেয়ার আহ্বান জানান তিনি।
সৌদি-ইসরাইল স্বাভাবিককরণ
ফিলিস্তিন ইস্যু নিয়ে সৌদি আরব ও ইসরাইলের চলমান দ্বন্দ্বের অবসান ঘটানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে একটি পার্শ্ব বৈঠকে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীকে এমন প্রতিশ্রুতি দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
গেল ২৯ ডিসেম্বর ক্ষমতায় আসার পর বাইডেনের সঙ্গে এটিই নেতানিয়াহুর প্রথম মুখোমুখি বৈঠক। এসময় বৈরিতা ভুলে সৌদি আরবের সঙ্গে ইসরাইলের সম্পর্ক স্থাপনের সম্ভাব্য একটি চুক্তি নিয়ে কাজ করার প্রতিশ্রুত দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
রিয়াদ-তেল আবিবের চলমান দ্বন্দ্বের অবসান ঘটনোর পাশাপাশি ইরানকে পরমাণবিক অস্ত্রের সক্ষমতা অর্জন থেকে বিরত রাখার প্রতিশ্রুতি দেন বাইডেন। একইসঙ্গে ইসরাইল-ফিলিস্তিনের বিরোধ মেটাতে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের প্রতিও সমর্থন দেন তিনি।
নেতানিয়াহু জানান, যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ইসরাইল এবং সৌদি আরবের মধ্যে একটি ঐতিহাসিক শান্তি প্রতিষ্ঠা হতে পারে। এটি মধ্যপ্রাচ্যের দ্বন্দ্ব কমানোর প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে কাজ করবে। এমনকি ইহুদি রাষ্ট্রের সঙ্গে ইসলামি বিশ্বের এবং তেল আবিব ও রামাল্লার মধ্যে একটি স্বাভাবিক সম্পর্ক তৈরিতে সাহায্য করবে।
এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফক্স নিউজ চ্যানেলকে দেয়া এক সাক্ষাতকার সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান বলেন, তারা ধীরে ধীরে ইসরাইলের সঙ্গে দূরত্ব কমিয়ে আনছে। পাশাপাশি ইরানের যদি একটি পারমাণবিক অস্ত্র থাকে, তবে তাদেরও একটি পারমাণবিক অস্ত্র থাকবে বলে সতর্ক করেন তিনি। তবে রিয়াদ-তেল আবিব সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের ক্ষেত্রে ফিলিস্তিন ইস্যু গুরুত্ব পাবে বলে জানান সৌদি যুবরাজ।
এদিকে, রিয়াদ-তেল আবিবের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের এই উদ্দ্যোগ ফিলিস্তিনিদের পিঠে ছুরিকাঘাত করার শামিল বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ইরানি প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। পাশাপাশি রিয়াদ যদি তেল আবিবের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করে তবে তা ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা হবে বলে জানান তিনি।