শিহাব হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

মো. নাসির উদ্দিন, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি স্কুলের আবাসিকে পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র শিহাব (১২) এর হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে সহপাঠী ও শহরের বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কয়েকটি স্কুল-কলেজের উদ্যোগে সৃষ্টি স্কুলের শিক্ষার্থীরা টাঙ্গাইল শহরের প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা বলেন, শিহাব ৫ম শ্রেনির ছাত্র ছিল, সে কি কারণে আত্মহত্যা করবে? তার আত্মহত্যা করার মতো মানসিকতা তৈরি হয় নাই। তাকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
তারা বলেন, শিহারেব মৃত্যুর ঘটনাই প্রথম নয়, এর আগেও সৃষ্টিতে আরো দূর্ঘটনা ঘটেছে। টাকা দিয়ে ধামাচাপা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। আমরা এখানে পড়তে এসেছি, মরতে নয়। আমাদের পরিবার আমাদের পড়তে পাঠিয়েছে। শিক্ষকরা শাসন করবেন, কিন্তু সেই শাসন কেন পৈশাচিক হবে। শাসনের কারণে কেন আমাদের মরতে হবে।
এসময় শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের দিকে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বলেন, আমাদের শিক্ষকরা বইয়ের ভাষায় মানবতার কথা বলেন; কিন্তু তারা কি মানবিক? এসময় শিক্ষকদের একটি অংশকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের চিহ্নিত করতে ছবি তুলতেও দেখা যায়। কেন ছবি তুলছেন শিক্ষকরা, জানতে চাইলে তারা এর কোন সদুত্তর দিতে পারেন নি? শিক্ষার্থীরা ৫ দফা দাবী পেশ করেন দাবী গুলো হলো। আবাসিকের ৪র্থ তলার দায়িত্বরত শিক্ষককে অনতিবিলম্বে রিমান্ডে নিতে হবে।
প্রকৃত ঘটনা উৎঘাটন করে দোষীকে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যু দন্ড দিতে হবে। আবাসিক হলে শিক্ষার্থীদের কোন মানসিক নির্যাতন করা যাবে না। আবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য অভিযোগ বাক্সের ব্যবস্থা করতে হবে যাতে শিক্ষার্থীরা তাদের অসুবিধার কথা জানাতে পারে। আগামি রবিবারের মধ্যে যদি দোষীদের গ্রেপ্তার না করা হয় তাহলে সামনের সোমবার আমরা কঠোর আন্দোলনে যাবো।
উল্লেখ্য, টাঙ্গাইল শহরের সৃষ্টি একাডেমিক স্কুলের আবাসিক ভবণ থেকে শিহাব মিয়া নামের এক পঞ্চম শ্রেণী শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করা হয়। সোমবার সন্ধ্যায় বিশ্বাস বেতকা সুপারি বাগান এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় ভবণের দায়িত্বরত শিক্ষকরা।
নিহত শিহাব মিয়া সখীপুর উপজেলার বেরবাড়ি গ্রামের প্রবাসী ইলিয়াস হোসেনের ছেলে। তার পরিবারের অভিযোগ, এটি রহস্যজনক মৃত্যু। এটা কোন স্বাভাবিক ও আত্মহত্যার মতো কোন ঘটনা নয়। তাই তদন্ত সাপেক্ষে শাস্তির দাবি করেন শিহাবের পরিবারের সদস্যরা।