মরক্কোর সঙ্গে হারের পর বেলজিয়ামে দাঙ্গা, আগুন

শক্তি-সামর্থ্যে অনেক পিছিয়ে থাকা মরক্কোর বিপক্ষে হার মানতে পারেননি বেলজিয়াম সমর্থকরা। কেভিন ডে ব্রুইনে, এদের আজারদের হারে ক্ষুব্ধ ভক্তরা নেমে আসেন রাস্তায়। এতে বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে শুরু হয় দাঙ্গা।
কাতার বিশ্বকাপ রোববার সাক্ষী হয় আরেকটি অঘটনের। আল থুমামা স্টেডিয়ামে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের দুই নম্বর দল বেলজিয়ামকে ২-০ গোলে হারিয়ে দেয় ২২ নম্বরের মরক্কো। যার ফলে শেষ ষোলোয় যাওয়ার পথে বড় ধাক্কা খায় রবের্তো মার্তিনেসের দল।
ওই হারের পর ব্রাসেলসে কিছু মানুষ একটি গাড়ি ও কয়েকটি বিদ্যুৎ চালিত স্কুটারে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে ডজনখানেক মানুষকে আটক পরে পুলিশ এবং একজনকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশ ব্রাসেলসের কেন্দ্রীয় এলাকায় দাঙ্গাবাজদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়েছে। কিছু এলাকায় চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
দেশটির পুলিশের মুখপাত্র ইলসে ভ্যান ডি কিরি বলেছেন, মরক্কোর কাছে ২-০ গোলে হারের পর ক্ষুব্ধ লোকজন ব্রাসেলসে গাড়ি জ্বালিয়ে দেন। ইট ছুড়ে গাড়ি ভাঙচুর করেন। লাঠি হাতে নিয়ে অনেকেই রাস্তায় নেমে আসেন। এ সময় একজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন।
রোববার (২৭ নভেম্বর) কাতার বিশ্বকাপে মরক্কোর কাছে ২-০ গোলে হেরেছে শক্তিশালী বেলজিয়াম। এরপরই ব্রাসেলসের রাস্তায় নেমে আসে ক্ষুব্ধ লোকজন।
এমন পরিস্থিতিতে ব্রাসেলসের সিটি সেন্টার থেকে লোকজনকে দূরে থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন ব্রাসেলসের মেয়র ফিলিপ ক্লোজ। তিনি বলেন, সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে কর্তৃপক্ষ কাজ করছে।
ক্লোজ বলেন, ‘আজ দুপুরের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। পুলিশ ইতোমধ্যে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে। আমি ভক্তদের শহরের কেন্দ্রে না আসতে বলছি। দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছি।’
এদিকে নেদারল্যান্ডস, আমস্টারডাম ও হেগ শহরেও ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খলার খবর পাওয়া গেছে।
তবে বেলজিয়াম উত্তাল হয়ে উঠলেও এমন অভূতপূর্ব জয়ে উল্লসিত মরোক্কানরা। সেখানকার রাস্তায় মানুষজন স্বতঃস্ফূর্তভাবে জয় উদযাপন করছে।