১০ তারিখ জানানো হবে কীভাবে পদত্যাগ করবেন: গয়েশ্বর

‘সরকার কোন পদ্ধতিতে পদত্যাগ করবে তা ঢাকায় ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ থেকে বলে দেয়া হবে। সে অনুযায়ী সরকারকে প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’
বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আফসার আহমদ সিদ্দিকীর ২১তম মৃত্যুবার্ষিকী স্মরণে ওই আলোচনার আয়োজন করে আফসার আহমদ সিদ্দিকী স্মৃতি ফাউন্ডেশন।
তিনি বলেছেন, ১০ তারিখ আমরা সরকারকে জানাব কীভাবে তারা পদত্যাগ করবেন। আমরা যা কিছু করব, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জানিয়ে করব। বিএনপি তো সর্বহারা পার্টি না বা আড়ালে আবডালে থাকা দল না যে গোপনে কোনোকিছু করব। সুতরাং ১০ তারিখ আমরা ঘোষণা দেব। এই ঘোষণা অনুযায়ী আপনারা প্রস্তুতি নেবেন। আর আমাদের প্রস্তুতি আপনাদের (আওয়ামী লীগ) মোকাবিলা করা না, বরং পরাস্ত করা।
এসময় আওয়ামী লীগের উদ্দেশে গয়েশ্বর বলেন, হয় পদত্যাগ করবেন, না হয় পদত্যাগে বাধ্য করব। কিসের জন্য বাধ্য করব; ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য না। জনগণের ভোটাধিকার জনগণকে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য।
ক্ষমতায় আসলে বিএনপি আদালত (বিচার বিভাগ) নিয়ন্ত্রণ করবে না জানিয়ে দলটির এই নেতা বলেন, বিএনপি আদালত নিয়ন্ত্রণ করবে না। পুলিশকে দলীয় ক্যাডার হিসেবে ব্যবহার করবে না। পুলিশের এক শ্রেণির লোক এবং যারা লুটপাট করেন, তারা মনে করে- শেখ হাসিনা না থাকলে তাদের কী হবে। এ কারণে তারা সরকারকে টিকিয়ে রাখার জন্য নানা পরামর্শ দেন। অতীতে এমন ঘটনা ’৫২, ’৭০ এবং ’৭৫ সালে ঘটেছে। যার পরিণতি ভালো হয়নি, খুব খারাপভাবে পতন হয়েছে তাদের।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুসারীরা যে টাকা লুট করেছে তা দিয়ে দুই বছরের বাজেট করা সম্ভব বলেও মন্তব্য করেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
আফসার আহমদ সিদ্দিকী স্মৃতি ফাউন্ডেশনের আহ্বায়ক জাহানারা সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে ও ফাউন্ডেশনের সদস্যসচিব জামিল আহমদ সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান। এছাড়া সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন, বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।