নির্ধারিত সময়ের আগেই চালু হবে বঙ্গবন্ধু রেল সেতু: রেলমন্ত্রী

বঙ্গবন্ধু রেলসেতু যোগাযোগের আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক তৈরি করবে বলে মন্তব্য করেছেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। তিনি বলেন, ‘করোনা পরবর্তী সময়ে রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণে বৈশ্বিক সংকট সৃষ্টি হলেও নির্ধারিত সময়েই শেষ হবে যমুনা নদীর উপর নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেল সেতুর নির্মাণ কাজ। এ সেতু নির্মাণ হলে দেশের উত্তরবঙ্গসহ দক্ষিণ এশিয়ার সঙ্গে রেল যোগাযোগের একটি আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক তৈরি হবে।’
আজ সোমবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেল সেতুর পশ্চিম প্রান্তের কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
রেলমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের অভ্যন্তরীণ রেল যোগাযোগ বিস্তারে সিরাজগঞ্জ-বগুড়া রেললাইনসহ যেসব প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে সেগুলোর কাজ যথা সময়ে শেষ হবে।’
রেলসেতুর নির্মাণ কাজের অগ্রগতি তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ‘৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুর মধ্যে ১ দশমিক ১৫ কিলোমিটার ইতোমধ্যে দৃশ্যমান হয়েছে। ১২টি পিলারের ওপর ১১টি স্প্যান বসে গেছে। পূর্ব প্রান্তের অগ্রগতি অনেক ভালো। পশ্চিম প্রান্তে অগ্রগতি কিছুটা কম। তবে ঠিকাদার তাদের কাজের গতি বাড়িয়ে দিয়েছেন। ফলে প্রকল্পটি নির্ধারিত ২০২৪ সালের আগস্টের আগেই যান চলাচলের জন্য খুলে যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে।’
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী বলেন, সেতু ডুয়েল গেজ ডাবল লাইন হচ্ছে। এখানে ব্রডগেজে ১২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলবে এবং সেতু পার হতে পাঁচ মিনিট সময় লাগবে যেটি এখন প্রায় ৪০ মিনিট সময় লাগছে। ফলে সময় অনেক কমে যাবে। এই সেতুর মাধ্যমে ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপিত হবে। ফলে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, নেপাল, ভুটানের সঙ্গে ট্রেন যোগাযোগ আরও বৃদ্ধি পাবে। যার ফলে সেতু দিয়ে অভ্যন্তরীণ ট্রেন বৃদ্ধিসহ ভারত থেকে সরাসরি মালবাহী ট্রেন চালানো সম্ভব হবে।
এ সময় টাঙ্গাইলের সংসদ সদস্য তানভীর হাসান, বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত পরিচালক অবকাঠামো মো. শহিদুল ইসলাম, সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মো. মাসউদুর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকার) অর্থায়নে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু নির্মিত হচ্ছে। ২০২৪ সালের আগস্ট মাসের মধ্যে সেতু নির্মাণ শেষ করার সময় নির্ধারণ করা আছে। এটির মোট প্রকল্প ব্যয় ১৬,৭৮০ কোটি টাকা। সর্বশেষ এ বছর জানুয়ারি পর্যন্ত প্রকল্পের ভৌত অগ্রগতি ৫৫ শতাংশ।