এবার জাপান সাগরে সুপারসনিক মিসাইল নিক্ষেপ রাশিয়ার
এবার জাপান সাগরে সুপারসনিক অ্যান্টি-শিপ (জাহাজ-বিধ্বংসী) মিসাইল নিক্ষেপ করল রাশিয়া। মঙ্গলবার রাশিয়ার নৌবাহিনী জাপান সাগরে একটি কৃত্রিম লক্ষ্যবস্তুতে ওই ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে এমন দাবি করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাপান সাগরে সুপারসনিক মিসাইল নিক্ষেপের বিষয়ে মঙ্গলবার নিজেদের টেলিগ্রাম অ্যাকাউন্টে বিবৃতি দিয়েছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
এতে বলা হয়েছে, “প্রশান্ত মহাসাগরীয় ফ্লিটের ক্ষেপণাস্ত্রবাহী জাহাজগুলো জাপান সাগরের পানিতে একটি কৃত্রিম সামুদ্রিক লক্ষ্যবস্তুতে মস্কিট ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে।”
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, “কৃত্রিম ওই লক্ষ্যবস্তুটি প্রায় ১০০ কিলোমিটার (৬২.১৪ মাইল) দূরত্বে অবস্থান করছিল এবং দু’টি মস্কিট ক্রুজ মিসাইল দিয়ে সরাসরি সেটিতে সফলভাবে আঘাত হানা হয়েছে।”
সংবাদসংস্থা রয়টার্স বলছে, পি-২৭০ মস্কিট হচ্ছে রাশিয়ার সোভিয়েত আমলের মাঝারি-পাল্লার সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র। ১২০ কিলোমিটার (৭৫ মাইল) পর্যন্ত যেকোনও জাহাজকে এই ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করতে সক্ষম।
জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়োশিমাসা হায়াশি বলেছেন, টোকিও মস্কোর সামরিক এই ধরনের অভিযানের বিরুদ্ধে সজাগ থাকবে।
তিনি আরও বলেছেন, সুপাসনিক এই ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের পর কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
মঙ্গলবার হায়াশি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন অব্যাহত থাকা মধ্যেই রুশ বাহিনী জাপানের আশপাশের অঞ্চলসহ দূর প্রাচ্যে আরও সক্রিয় হয়ে উঠছে।”
রয়টার্স বলছে, পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম দু’টি রাশিয়ান কৌশলগত বোমারু বিমান সাত ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জাপান সাগরের ওপর দিয়ে উড়ে যাওয়ার এক সপ্তাহ পরে জাপান সাগরে সুপারসনিক অ্যান্টি-শিপ মিসাইল নিক্ষেপের এই ঘটনা ঘটল। যদিও বোমারু বিমান উড্ডয়নের ওই ঘটনাকে রাশিয়া ‘পরিকল্পিত ফ্লাইট’ বলে দাবি করেছিল।
বেলারুশে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র স্থাপনের বিষয়ে রাশিয়ার পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে হায়াশি বলেন, জাপান এই পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছে এবং রাশিয়া ও বেলারুশকে ‘উত্তেজনা বাড়াতে পারে এমন পদক্ষেপ’ বন্ধ করার দাবি জানিয়েছে।
সূত্র: আল জাজিরা, এবিসি নিউজ, রয়টার্স, এপি