এশিয়ান নারী ও শিশু অধিকার ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে সুবিধা বঞ্চিত নারী ও শিশুদের অধিকার সুরক্ষায় গণমাধ্যমের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
রোববার (২৮ মে) বিকালে ঢাকায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী জাতীয় নাট্যশালা সেমিনার কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এশিয়ান নারী ও শিশু অধিকার ফাউন্ডেশনের মহাসচিব মুহাম্মদ আলীর পরিচালনায় ও চেয়ারম্যান লায়ন এম জাফর উল্লাহর সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলরের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. নিজামুল হক নাসিম, ঢাকাস্থ রাশিয়া দূতাবাসের মিনিস্টার কাউন্সিল ও ডেপুটি চীফ মিশন একাতেরিনা সেমোনোভা, অধ্যাপক ড.নাঈমা খানম, জাতীয় ইংরেজি দৈনিক দি বাংলাদেশ টুডের প্রধান বার্তা সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ভুট্টো, এটিএন নিউজের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মো. মোশাররফ হোসাইন, দৈনিক আমাদের অর্থনীতির এডিটর ইনচার্জ মাসুদা ভাট্টি, এশিয়ান নারী ও শিশু অধিকার ফাউন্ডেশনের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান রোটারিয়ান এস এম আজিজ, ভাইস চেয়ারম্যান আরফান চৌধুরী আপেল, হিউম্যান রিসোর্স এন্ড চাইল্ড লেবর অব ইন্দোনেশিয়ার কান্ট্রি ডিরেক্টর (বিডি) সাংবাদিক এস এম আকাশ।
ব্যবসায়ী কাজী মো. খালেকুজ্জামান চৌধুরী, বিশিষ্ট সমাজ সেবক মো. এ এইচ এম কামরুজ্জামান, ফাহিম আহমেদ ফাহিম মো. রিপন মোল্লা, মো. ফরিদ গাজী, লতিফ আহমেদ, লায়ন আবুল বাশার, লায়ন মতিউর রহমান টিপু, নুর মোহাম্মদ শাহেদ ও কাজী মাসুদসহ প্রমুখ।
এই সময় এশিয়ান নারী ও শিশু অধিকার ফাউন্ডেশনের মহাসচিব মুহাম্মদ আলী গণমাধ্যমের প্রতি বিভিন্ন প্রস্তাবনা তুলে ধরে প্রবন্ধ পাঠ করেন।
প্রস্তাবনাসমূহ হলো:
১. সকল প্রকার সংবাদ প্রকাশের পাশাপাশি প্রতিদিন অন্তত একবার হলেও শিশুদের সংবাদ প্রকাশ করা।
২. শিশুদের অধিকার সচেতনতায় সচেতনমূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা।
৩. শিশু অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলো সংবাদ প্রকাশ করে তাদের উৎসাহিত করা।
৪. শিশু অধিকার সংগঠন সহ সকল স্বেচ্ছাসেবী মানবাধিকার সংস্থা গুলোকে বিভিন্ন কাজে সম্পৃক্ত করা।
৫. সুবিধা বঞ্চিত পথ শিশুদের জীবন মান নিয়ে প্রতিবেদন করা।
৬. শিক্ষামূলক শিশুতোষ নাটক/বা শর্ট ফিল্ম তৈরি করে তা ধারাবাহিক ভাবে গণমাধ্যমে প্রচার করা।
৭. অসহায় ও নির্যাতিত নারীদের নিয়ে উৎসাহ মূলক বিভিন্ন অনুষ্ঠান প্রচার করা।
৮. মাদক বিরোধী সচেতনতামূলক ক্যাম্প করে তা প্রচার করা।
৯. পথশিশুদের কথাগুলো তুলে ধরা।
১০. শিশু বিকাশে ক্ষতি হয় এমন অনুষ্ঠান প্রচার হতে বিরত থাকা।
১১. সমাজ সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সামাজিক সংস্থাগুলোর কাজ গুরুত্বসহকারে তুলে ধরা।
১২. শিশু বিষয়ক যতগুলো দিবস আছে সেই দিবস গুলোকে প্রাধান্য দিয়ে শিশু অধিকার সচেতনতায় বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন করা।
১৩. শিশু অধিকার নিয়ে কাজ সংগঠনগুলোকে মিডিয়া বান্ধব হিসেবে একে অপরের পরিপূরক হিসাবে কাজ করার পরিবেশ সৃষ্টি করা।
১৪. সুবিধা বঞ্চিত শিশুদেরকে রাষ্ট্রবিরোধী সমাজবিরোধী ও অনৈতিক কাজে ব্যবহারকারীদেরকে চিহ্নিত করা।
১৫. শিশু অপহরণকারী ও শিশুকে দিয়ে জোরপূর্বক ভিক্ষাবৃত্তিকারীদেরকে চিহ্নিত করে আইনের হাতে তুলে দিয়ে কঠিন শাস্তির মুখোমুখি করা ইত্যাদি।