নিখোঁজের চার দিন পর স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার
রাজধানীর ভাটারা থানা এলাকা থেকে নিখোঁজের চার দিন পর তৌহিদুল ইসলাম নামের এক স্কুলছাত্রের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার পরিবারের কাছে দাবি করা মুক্তিপণের ৩০ লাখ টাকা না পেয়ে তাকে খুন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
রোববার ভাটারা থানা এলাকার একটি কাশবন থেকে তৌহিদুলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে সন্দেহভাজন হত্যাকারী জুয়েল রানাকে (২৭) দিনাজপুর জেলার কাহারোল থানাধীন গাসারিয়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করে ভাটারা থানা পুলিশ। ২৩ নভেম্বর থেকে নিখোঁজ ছিল তৌহিদুল।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) বাড্ডা জোনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার (এসি) রাজন কুমার সাহা বলেন, শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৪টার দিকে দিনাজপুরের কাহারোল থানাধীন গাসারিয়া (ছাপড়াপাড়া) এলাকায় অভিযান চালিয়ে সন্দেহভাজন আসামি জুয়েল রানাকে গ্রেফতার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, গত ২৩ নভেম্বর রাত সাড়ে ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে ভিকটিম তৌহিদুলকে টাকা আদায়ের জন্য কৌশলে ডেকে আনে জুয়েল। পাওনা ১০ লাখ টাকা ফেরত পেতে তৌহিদুলকে চাপ দিলে জুয়েলের ওপর ছুরি নিয়ে হামলা চালায় তৌহিদ।
পরে সেই ছুরি কেড়ে নিয়ে তৌহিদুলকে পালটা আঘাত করলে তার মৃত্যু হয়। হত্যার পর লাশ ভাটারা থানা এলাকার একটি কাশবনে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। জুয়েল রানা একটি প্রতিষ্ঠানের সিকিউরিটি গার্ডের চাকরি করেন বলে জানান এসি রাজন।
ভাটারা থানায় তৌহিদুলের বাবা নবী হোসেনের করা মামলা সূত্রে জানা গেছে, তৌহিদুল ইসলাম স্থানীয় একটি স্কুল ও কলেজে নবম শ্রেণিতে পড়ত। ২৩ নভেম্বর রাত ৯টার দিকে তৌহিদুল বাসা থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে বের হয়ে যায়। দীর্ঘক্ষণ বাসায় ফিরে না আসায় তার মোবাইল ফোনে কল করলে নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। খোঁজাখুঁজি করেও কোথাও পাওয়া যায়নি।
পরে রাত সাড়ে ১১টার দিকে তৌহিদুলের মোবাইল ফোন থেকে তার মাকে ফোন করে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি জানান, তৌহিদুল তাদের কাছে আছে। তাকে পেতে হলে ২ ঘণ্টার মধ্যে ৩০ লাখ টাকা দিতে হবে এবং দাবিকৃত টাকা না দিলে তৌহিদুলকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। পরে ভাটারা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন তারা।