সাতকানিয়ায় কালবৈশাখী ঝড়ে বিদ্যুৎ লাইনের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
রমজান আলী, সাতকানিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় কালবৈশাখী ঝড়ে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সোমবার (৬ মে) বিকালে শুরু হওয়া কালবৈশাখী ঝড় উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে গেছে। ঝড়ের সাথে বজ্রপাতও হয়। ফলে মানুষজন আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।
এ সময় কেঁওচিয়া নয়াখাল, সোনাকানিয়া বাংলাবাজার, পশ্চিম আমিলাইশ, পুরানগড় ও কাঞ্চনায় বৈদ্যুতিক খুঁটি ও তারের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কিছু স্থানে গাছ উপড়ে পড়ে সড়কে।
অপরদিকে ঝড়ে কয়েকশ বিঘা জমির পাকা ধান মাটিতে হেলে পড়েছে। ধান কাটার ঠিক আগ মুহূর্তে পাকা ধানগুলো হেলে পড়ায় ফলন ঘরে তোলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা। কৃষকদের হেলে পড়া ধান দ্রুত কেটে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে কৃষি অফিস।
ঝড়বৃষ্টি শুরু হওয়ার আগে উপজেলার বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন বন্ধ করে দেয়া হয়। এরপর মধ্যরাতে পিডিবির কিছু লাইন চালু করা হলেও ঝড়-বাতাসে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ১ এর প্রায় ৭৫ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়ে। আজ মঙ্গলবার বিকালে রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পল্লী বিদ্যুতের ৬টি ফিডারের ২টি ফিডার দুপুরের আগে চালু হলে কিছু গ্রাহক বিদ্যুৎ সংযোগ পায়। তবে অধিকাংশ গ্রাহক ২৪ ঘণ্টা ধরে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে।
সাতকানিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান বলেন, সোমবার কালবৈশাখী ঝড়ে ফসলের তেমন ক্ষতি হয়নি। কিছু সবজি ক্ষেতের মাচা ভেঙে গেছে। মাচাগুলি ঠিক করে দেওয়া হলে ফসলের কোনো ক্ষতি হবে না। বাতাসে কিছু ধান হেলে পড়েছে। এবার উপজেলায় ৭ হাজার ৩শ হেক্টর বোরো ধান আবাদ হয়েছে। এরইমধ্যে প্রায় ৫৮ ভাগ জমি থেকে ফসল উঠে গেছে। সামনে কালবৈশাখী ঝড়ের পূর্বাভাস রয়েছে। এর আগে মাঠ থেকে ফসল উঠে না গেলে কৃষকের অনেক ক্ষতি হবে।
চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ সাতকানিয়া জোনাল অফিসের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো. ইব্রাহিম জানান, এ অঞ্চলে সোমবার বিকালে ঝড়ে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের ২৩টি খুঁটি ভেঙে পড়েছে। ৬৩টি স্থানে তার ছিঁড়ে গিয়ে ৫৭টি মিটার নষ্ট হয়েছে। এসব জায়গায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করার জন্য কাজ চলছে।