হাসপাতালে স্ত্রীর লাশ রেখে পালিয়ে গেল স্বামী
অতুল পাল, বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তাকিয়া (১৮) নামের এক গৃহবধূর লাশ রেখে পালিয়ে গেছে স্বামী। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করেছেন। আজ মঙ্গলবার (৭ মে) বেলা ১১ টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে।
তাকিয়া উপজেলার সূর্যমণি ইউনিয়নের রামনগর গ্রামের হোসেন হাওলাদারের মেয়ে ও বাউফল সদর ইউনিয়নের বিলবিলাস গ্রামের মো. মিরাজ হোসেনের স্ত্রী।
তাকিয়ার ভাবী ঝুমুর সাংবাদিকদের বলেন, বিয়ের পর থেকে তাকিয়ার উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো মিরাজ। যৌতুকের জন্য তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে কথা বলতো শ্বশুর ও শ্বাশুড়ি। গত তিন দিন ধরে তাকিয়াকে প্রচুর মারধর করে মিরাজ। বিষয়টি মুঠোফোনে তাকিয়া তার ছোট ভাইকে জানায়। মঙ্গলবার সকালে তাকিয়ার অসুস্থতার খবর তার বাবা মাকে জানানো হয়। খবর পেয়ে বেলা ১১ টায় তাকিয়ার মা হনুফা বেগম বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাওয়ার পর কয়েকজন যুবক জোড়পূর্বক তার স্বাক্ষর নেয় এবং হনুফা বেগমকে বলা হয় তাকিয়া আত্মহত্যা করেছে। এরপরই তাকিয়ার স্বামী মিরাজ হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়। মেয়ের মৃত্যুর খবর জেনে হাসপাতালেই মা হনুফা কান্নায় ভেঙে পড়েন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক নার্স বলেন, তাকিয়ার শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকিয়ার মা হনুফা বেগম বলেন, মিরাজ মাদকাশক্ত। সে যৌতুকের জন্য আমার মেয়েকে হত্যা করেছে। আমি বিচার চাই। অবশ্য মারধর করে হত্যার অভিযোগ অস্বীকার করেন তাকিয়ার শ্বশুড় ফজলু গাজী।
বাউফল থানার ওসি শোনিত কুমার গায়েন বলেন, লাশ ময়না তদন্তের জন্য পটুয়াখালী মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। রিপোর্ট পেলেই হত্যা না আত্মহত্যা নিশ্চিত হওয়া যাবে।