কুতুবদিয়ায় বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা

আবুল কাশেম, কুতুবদিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধিঃ কুতুবদিয়ায় ক্রমেই বিস্তার ঘটছে ডেঙ্গু ভাইরাসের। গত দেড় মাসেই প্রায় অর্ধশত ব্যক্তি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে বলে হাসপাতাল, বেসরকারি ল্যাব সূত্রে জানা গেছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৫ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া নিউ মেডিল্যাব ডায়াগনষ্টিক সেন্টার, নিরূপম স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র, ন্যাশনাল ডায়াগনষ্টিক সেন্টার ইত্যাদি বেসরকারি ল্যাবে প্রায় ৩৫ জন রোগীর দেহে ডেঙ্গু টেষ্ট পজিটিভ পাওয়া যায় বলে জানা গেছে। এর মধ্যে শিশু রোগীও রয়েছে কয়েকজন।
তবে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত সিংহভাগ রোগীরা বসবাস করতেন ঢাকা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে। তারা গ্রামে আসার পর জ্বরে আক্রান্ত হলে চিকিৎসকের কাছে গিয়ে পরীক্ষার পর জানা যাচ্ছে ডেঙ্গু।
ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র আকিব(১০), বাড়ি এসেই জ্বর হয়। গত বৃহস্পতিবার তার ডেঙ্গু সনাক্ত হয়। এছাড়া মো: কালু (৩৭), রতনা দাশ (১৯), বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র নকীব (২১) আক্রান্তরা চট্টগ্রাম থেকে বাড়িতে এলে ধরা পড়ে ডেঙ্গু।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট (ল্যাব) গোলাম মওলা জানান, গত দেড় মাসে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সাড়ে ৩‘শ রোগীর রক্তে ডেঙ্গু টেষ্টের মধ্যে ১৫ জন পজিটিভ পাওয়া যায়। নিউ মেডিল্যাব ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের পরিচালক মো: আব্দুল মান্নান জানান, গত এক মাসে ১০ জন নারী-পুরুষ ও শিশুর শরীরে ডেঙ্গু পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ পাওয়া গেছে। তবে এসব রোগীরা বিভিন্ন এলাকায় বসবাস করেন বলে জানা গেছে।
নবজাতক ও শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডা: মো: জায়নুল আবেদীন বলেন, ঢাকা, চট্টগ্রাম সহ বেশ কিছু জেলায় ডেঙ্গুর প্রকোপ চলছে। ওই সব এলাকা থেকে যারা গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে আসছেন তাদের অনেকেই আক্রান্ত হচ্ছেন। আবার ভ্রমণের সময় কারো ব্যাগে বা জামা-কাপড়, যানবাহনের মাধ্যমে ডেঙ্গু মশা ট্রাভেল হয়ে এসে বংশ বিস্তার ঘটাতে পারে। কাজেই জ্বর সহ ডেঙ্গুর অন্যান্য উপসর্গ থাকলে অবহেলা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিৎ।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য প.প কর্মকর্তা ডা: গোলাম মোস্তফা নাদিম বলেন, বেশ কিছু রোগীর দেহে ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে। এরা বাহির থেকে এসেছে। স্থানীয়দের মাঝে আক্রান্তের খবর পাওয়া যায়নি। ডেঙ্গু আক্রান্ত এসব রোগীকে হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন পড়েনি। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে বিশ্রাম সহ অন্যান্য পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। হাসপাতালে পর্যাপ্ত স্যালাইন ও ওষুধ মজুদ আছে বলে জানান, যেহেতু এখন ডেঙ্গু আক্রান্তের মওসুম চলছে তাই সন্দেহ হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিৎ বলে মনে করেন তিনি।