বিএনপি সাম্প্রদায়িকতার বিশ্বস্ত ঠিকানা: কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপির আন্দোলন মানে আগুন সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষকতা, সাম্প্রদায়িকতার বিশ্বস্ত ঠিকানা। কয়েকদিন আগে কাঁচপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঢাকা-সিলেট সড়কে ভিত্তিপ্রস্তর রাতের অন্ধকারে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। গত বুধবার রাতে রাজধানীর মতিঝিলে বিআরটিসির দোতলা বাস ভয়াবহভাবে পুড়িয়েছে। এভাবে বিএনপি আগুন সন্ত্রাসের আভাস দিচ্ছে আন্দোলনের নামে। বিএনপি জানান দিচ্ছে, আন্দোলনে সহিংসতার উপাদান।’
শুক্রবার বিকেলে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট এএইচসি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মানুষ আতঙ্কগ্রস্ত। আমরা ক্ষমতায় আছি, আমরা সহিংসতা চাই না, তাই ছাত্রলীগের সম্মেলন ৮ ডিসেম্বরের স্থলে ৬ ডিসেম্বর নিয়ে এসেছি। যেখানে পাকহানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণ করেছে, দুনিয়ার ইতিহাসের শ্রেষ্ঠতম ভাষণ স্বাধীনতার ডাক দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সে স্মৃতিময় স্থান সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে বিএনপির ভয় কেন? তার মানে তারা চেতনায় মুক্তিযুদ্ধ ধারণ করেন না, এটাই প্রমাণ।’
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের উদ্দেশ্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সেখানে (সোহরাওয়ার্দী) বিএনপি যাবে না, সেখানে নাকি অঘটনের ভয় আছে। অঘটন কে ঘটাবে? অঘটন তো বিআরটিসির গাড়ি পুড়িয়ে বিএনপিই জানিয়ে দিয়েছে, কারা অঘটন ঘটাতে পারে?’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সমালোচনা করে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তারেক রহমান রাজনীতির সভ্যতাও বোঝে না। আমরা বেগম খালেদা জিয়া বলি। আর পলাতক সাজাপ্রাপ্ত এ নেতা বলে, হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে যাবে। প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যার নামটাও সুন্দরভাবে বলে না। তারেক জিয়াই তো ২০০৮ সাল থেকে পালিয়ে আছে। গ্রেপ্তারের ভয়ে দেশে আসে না।’
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নুর নবী চৌধুরীর সঞ্চালনায় সম্মেলনে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক বেগম ফরিদুন্নাহার লাইলী, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয় সম্পাদক বাবু সুজিৎ রায় নন্দী, নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ এএইচএম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম, যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীন, অপর যুগ্ম-আহ্বায়ক নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র সহিদ উল্যাহ খান সোহেল প্রমুখ।
সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জাকে সভাপতি এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলকে সাধারণ সম্পাদক করে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়।