যমুনা সারকারখানায় ফের উৎপাদন বন্ধ

যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে দেশের সর্ববৃহৎ ইউরিয়া উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান যমুনা সারকারখানায় ফের উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। রোববার সন্ধ্যায় সার কারখানার রিফরমার টিউব লিকেজ দেখা দেওয়ায় সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ইউরিয়া উৎপাদন বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ।
যমুনা সারকারখানা থেকে জামালপুর, শেরপুর, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, রাজবাড়ীসহ উত্তরবঙ্গের ১৬ জেলার প্রায় আড়াই হাজার ডিলার সার উত্তোলন করেন। দীর্ঘ সময় উৎপাদন বন্ধ থাকলে কারখানার কমান্ডিং এরিয়ায় সার সংকটে চলতি মৌসুমে ধানের আবাদ ব্যাহত হওয়ায় শঙ্কায় আছেন ব্যবসায়ীরা। তাই দ্রুত কারখানা চালুর দাবি জানান তারা।
যমুনা কারখানা সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯১ সালে উপজেলার তারাকান্দিতে যমুনা সার কারখানা প্রতিষ্ঠিত হয়। শুরুতে যমুনা সার কারখানার দৈনিক উৎপাদন ক্ষমতা ছিল ১হাজার ৭০০ মে.টন। গ্যাসের চাপ কমে যাওয়ায় পরে তা ১ হাজার ৩০০ মে.টনে নেমে আসে। গত বছরের জুন মাসে গ্যাসের তীব্র সংকট দেখা দেয়। প্রয়োজন মাফিক গ্যাস সরবরাহ না পাওয়ায় ২১ জুন যমুনার সার উৎপাদন বন্ধ হয়ে পড়ে। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর গ্যাস সরবরাহ করলে ঐ বছরের ১৮ ডিসেম্বর থেকে উৎপাদনে ফিরে যমুনা সারকারখানা।
যমুনা সারকারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শহীদুল্লাহ খান মুঠোফোনে বলেন, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে যমুনা সার কারখানার উৎপাদন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ত্রুটি সারিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে উৎপাদন ফেরার কাজ চলছে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য চলতি বছরে গত ২২ জানুয়ারি জানুয়ারি ভারতীয় বিশেষজ্ঞ মি. তানাজি এস. পন্দেকারের নেতৃত্ব একটি দল কারখানার অ্যামোনিয়া প্লান্টের এনজি বুস্টার কমপ্রেসার পরিদর্শনে আসেন। পরিদর্শনের সময় তিনি এনজি বুস্টারের একটি ভুল বাটনে চাপ দেন। এতে বিকট শব্দে অ্যামোনিয়া প্লান্ট বন্ধ হয়ে ইউরিয়া সার ও অ্যামোনিয়া উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে পড়ে।
কয়েক দিন চেষ্টা চালিয়ে ইউরিয়া উৎপাদনে গেলেও রোববার সন্ধ্যায় কারখানার রিফরমার টিউব লিকেজ দেখা দেওয়ায় ফের ইউরিয়া সার উৎপাদন বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ।