ড. ইউনূসকে নিয়ে বিশিষ্টজনদের ওটা বিবৃতি নয়, বিজ্ঞাপন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ড. ইউনূসের বিচার ও বিশ্বে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নেতৃত্বস্থানীয় ২৪২ ব্যক্তির দেওয়া বিবৃতি প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘প্রকৃতপক্ষে এটি বিবৃতি নয় বরং বিজ্ঞাপন। এর আগেও এমন ছাপা হয়েছে। ড. ইউনূসের প্রতি সম্মান রেখে বলতে চাই বাংলাদেশের বিচার প্রক্রিয়া অত্যন্ত স্বচ্ছ। তার বিরুদ্ধে সরকার নয় বরং শ্রমিকরা মামলা করেছে।’
আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে নর্থ মেসিডোনিয়া, হাঙ্গেরিসহ পূর্ব ইউরোপের ১৪ দেশের অনাবাসিক রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে তিনি এ কথা বলেন। হাছান মাহমুদ আরও বলেন, ‘লবিস্ট ফার্মের মাধ্যমে এটা করা হয়েছে। ড. ইউনূসের বিচার স্বচ্ছ প্রক্রিয়াতেই হচ্ছে।’
এর আগে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ‘ধারাবাহিক বিচার বিভাগীয় হয়রানি এবং কারাদণ্ড’ নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে খোলা চিঠি পাঠিয়েছেন শতাধিক নোবেল বিজয়ীসহ বিশ্বে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নেতৃত্বস্থানীয় ২৪২ ব্যক্তি।
ড. ইউনূসের ‘প্রহসনমূলক’ বিচারের অবসানের আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে একটি চিঠি লিখেছেন তারা। চিঠিটি ২৮ জানুয়ারি ‘প্রটেক্ট ইউনূস ডট ওয়ার্ডপ্রেস ডট কম’ (protectyunus.wordpress.com) ওয়েবসাইটে এবং ২৯ জানুয়ারি মার্কিন গণমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টে প্রকাশ করা হয়।
১৪ দেশের অনাবাসিক রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, তারা মূলত নতুন সরকারকে অভিনন্দন জানাতে বাংলাদেশে এসেছেন। সোমবার তারা গিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুর সমাধিস্থলে পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে।
তাদের কেউ কেউ আরও ১০ বছর আগে আমাদের এখানে এসেছিলেন। তারা উন্নয়নের প্রশংসা করেছেন। ১০ বছরে অনেক পরিবর্তন হয়েছে এখানে। প্রতিটি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের ডিপ্লোম্যাটিক রিলেশন আছে। বিজনেস রিলেশন আছে। কেউ কেউ ইনভেস্টমেন্ট করার কথাও বলেছেন।
উল্লেখ্য, ২৮ জানুয়ারি ৬ দিনের সফরে ঢাকায় আসেন ১৪ দেশের অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত। মূলত ভারতে নিযুক্ত এসব দেশের দূতাবাসের কর্মকর্তারা এ সফরে এসেছেন। সফর শেষে ২ ফেব্রুয়ারি ঢাকা ছাড়বেন তারা।
দেশগুলো হলো- ভারত, কম্বোডিয়া, হাঙ্গেরি, গাম্বিয়া, চেক রিপাবলিক, জ্যামাইকা, লুক্সেমবার্গ, বতসোয়ানা, মঙ্গোলিয়া, পেরু, স্লোভানিয়া, উরুগুয়ে, ভেনেজুয়েলা, নর্থ মেসিডোনিয়া।