মানসিক ভারসাম্যহীন নারীকে ধর্ষণ, সেই নারীর মৃত সন্তান প্রসব
এস মিজানুল ইসলাম, বানারীপাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধিঃ বানারীপাড়া পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের মজনু শেখের মানসিক ভারসাম্যহীন মেয়ে ছদ্মনাম নাহিদা(৪০) ধর্ষণের শিকার হয়ে মৃত সন্তান প্রসব করে। এ ঘটনায় থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং ৩। অভিযুক্ত একই ওয়ার্ডের মোঃ মাহাবুব খলিফার ছেলে হোসাইন (১৯)।
ভিকটিমের বাবা মজনু শেখ জানান, গত ২০ বছর আগে তার মেয়ে নাহিদার সাথে খুলনায় মোবারক নামের এক জনের সাথে বিবাহ হয়। তাদের দাম্পত্য জীবনে এক ছেলে ও এক মেয়ে আছে। পরবর্তীতে ৫/৬ বছর পরে আমার মেয়ের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। সন্তানদের পিতা মোবারক রেখে দেয়। এরপর মেয়ে আমার বাড়ি চলে আসে। সংসার এবং সন্তানদের শোকে আমার মেয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে।
তিনি আরো বলেন, গত ৮ থেকে ৯ মাস আগে অভিযুক্ত মাদকাসক্ত হোসাইন আমার মেয়েকে একাধিকবার জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। হোসাইনের বাবা মাকে বিষয়টি জানাই। গত কয়েকদিন আগে আমার মেয়েকে দেখে সন্দেহ হলে হোসাইনের বাবা-মাকে বিষয়টি তাৎক্ষণিক জানাই। আমি গরীব হওয়ায় পরীক্ষার জন্য মাহাবুব খলিফা ৪ হাজার টাকা দেয়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনের আইডিয়াল ল্যাবে ৭ অক্টোবর পরীক্ষা করানো হয়। পরীক্ষায় জানা যায়, সে ৭ মাস ১৫ দিনের অন্তঃস্বত্বা। মঙ্গলবার ১০ অক্টোবর ভোরে আমার মেয়ের পেটে মারাত্বক যন্ত্রণা হলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়। এরপরে সে একটা মৃত ছেলে সন্তান প্রসব করে।
এদিকে ঘটনা জানাজানি হলে অভিযুক্ত হোসাইন এলাকা থেকে পালিয়ে যায়। ঘটনাটির অভিযুক্ত হোসাইনের শাস্তির দাবিতে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়।
এ বিষয়ে বানারীপাড়া থানার ওসি (তদন্ত) মুমিন উদ্দিন জানান, মেয়েটির বাবা মজনু শেখ বাদী হয়ে ধর্ষণ মামলা করেছেন। আমরা তাৎক্ষণিক পুলিশ অফিসারদের হাসপাতালে পাঠিয়ে ভিকটিমের খোঁজ খবর নেই এবং মৃত নবজাতককে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ডিএনএ টেষ্ট ও পোস্টমর্টেম করানোর জন্য পাঠানো হয়েছে। আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।