দীঘিনালায় নবীন সৈনিকদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠিত
সোহানুর রহমান, দীঘিনালা (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি: খাগড়াছড়িতে সেনাবাহিনী প্রধান কুচকাওয়াজ ও রিক্রুট ব্যাচ ২০২৩ এর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (১৮ অক্টোবর) সকাল ৯টায় দীঘিনালা ফরমেশন এডহক রিক্রুট প্রশিক্ষণ সেন্টার (এফএআরটিসি) প্যারেড গ্রাউন্ডে নবীন সৈনিকদের শপথ বাক্য পাঠ ও কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়।
এতে সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল মোহাম্মদ শাহীনুল হক কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে অভিবাদন গ্রহণ করেন।
এসময় নবীন সৈনিকরা স্ব-স্ব ধর্মের ধর্মগ্রন্থে হাত রেখে মাতৃভূমির স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, ভৌগোলিক অখন্ডতা রক্ষায় জীবন উৎসর্গ, শৃঙ্খলা, পেশাগত দায়িত্ব পালনের শপথ গ্রহণ করেন।
দেশ, জাতি ও মানবতার কল্যাণে সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের শপথ নেয়া নবীন সেনা সদস্যদের উদ্দেশে জিওসি মেজর জেনারেল মোহাম্মদ শাহীনুল হক বলেন, ‘দেশপ্রেম ও প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞান ধারণ করে দেশের যেকোন প্রয়োজনে নিজেকে প্রস্তুত থাকতে হবে। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতা অক্ষুণ্ণ রাখতে সদা প্রস্তুত থাকতে হবে। আদর্শ ও নির্ভীক সৈনিক হিসেবে নিজেকে নিয়োজিত রাখার পাশাপাশি আত্মবিশ্বাস, নিষ্ঠা ও কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে দক্ষ সেনাসদস্য হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘দেশ মাতৃকার যেকোনো প্রয়োজনে পবিত্র দায়িত্ব পালনে নবীন সেনা সদস্যদের সর্বদা প্রস্তুত থাকতে হবে। বাহিনী ও দেশের সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে সকলকে সজাগ থাকতে হবে।’
এসময় তিনি আধুনিক ও যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় এ কোরের নবীন সৈনিকগণ দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এ দফায় অনুষ্ঠানে প্যারেড কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মেজর মো. ইয়াসির আরাফাত। এতে প্যারেড এ্যাডজুটেন্ট হিসেবে ক্যাপ্টেন মাজহারুল ইসলাম দায়িত্ব পালন করেন।
কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে খাগড়াছড়ি রিজিয়নের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মোহতাশিম হায়দার চৌধুরী, খাগড়াছড়ি ডিজিএফআই ডেট কমান্ডার কর্ণেল এ এস এম বদিউল আলম, খাগড়াছড়ি এএসইউ কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস্তেয়াক আহমেদ, ট্রেনিং সেন্টারের প্রধান প্রশিক্ষক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস এম মাহফুজ মান্নান সুমন, খাগড়াছড়ি রিজিয়নের জিটু-আই মেজর জাহিদ হাসানসহ ঊর্ধ্বতন সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অভিবাদন ও প্যারেট পরিদর্শন শেষে সেনাবাহিনীর নবীন সৈনিকদের মধ্য থেকে বিভিন্ন ইভেন্টে সেরা অবস্থানকারীদের হাতে ট্রফি তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মেজর জেনারেল মোহাম্মদ শাহিনুল হক।
এর মধ্যদিয়ে দশম দফায় এ সেন্টার থেকে ৮৭১ জন সৈনিক দীর্ঘ ৯ মাসের মৌলিক ট্রেনিং শেষে পদাতিক ডিভিশনে সৈনিক হিসেবে যোগ দিলেন।