শেখ রাসেল বেঁচে থাকলে আমরা একজন মহানুভব, দূরদর্শী ও আদর্শ নেতা পেতাম: শহীদ উল্লা খন্দকার
অংকন তালুকদার, কোটালীপাড়া (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কারাগার জীবনের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিজ নির্বাচনী এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিনিধি ও সাবেক সিনিয়র সচিব মোঃ শহীদ উল্লা খন্দকার বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন কারাগারে ছিলেন তখন বঙ্গমাতার সাথে শেখ রাসেল দেখতে যেতেন। পিতাকে শিশু শেখ রাসেল তখন বাড়িতে নিয়ে আসতে চাইতেন। তখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিশু রাসেলকে বলতেন ‘আমি আমার বাড়িতে আছি, তুমি তোমার মায়ের বাড়িতে যাও’। শেখ রাসেল ছিল শিশুদের অনুপ্রেরণা। জাতির পিতার সন্তান হয়েও সে খুব সাদাসিধে জীবন যাপন করতো। যখন সে ল্যাবরেটরি স্কুলে পড়তো তখন একজন প্রেসিডেন্টের ছেলে হয়েও বাইসাইকেল চালিয়ে স্কুলে যেতো। রাসেল যদি বেঁচে থাকত, নিশ্চয়ই একজন মহানুভব, দূরদর্শী ও আদর্শ নেতা আজ আমরা পেতাম, যাকে নিয়ে দেশ ও জাতি গর্ব করতে পারত।
আজ রবিবার গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার বঙ্গবন্ধু দারিদ্র্য বিমোচন ও পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বাপাডর্) হলরুমে ঢাকা ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অব কোটালীপাড়া (ডুসাক) আয়োজিত শেখ রাসেল অলিম্পিয়াড ও কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
উপস্থিত মেধাবী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে মোঃ শহীদ উল্লা খন্দকার বলেন, যে শিক্ষায় দেশ জাতি ও মানুষ উপকৃত হবে তোমাদেরকে সেই শিক্ষা অর্জন করতে হবে।
ঢাকা ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অব কোটালীপাড়া (ডুসাক) এর সভাপতি পবিত্র পালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শেখ রাসেল অলিম্পিয়াড ও কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক হারুন অর রশীদ, প্রাচ্যকলা বিভাগের অধ্যাপক ড. মলয় বালা, বাপার্ডের মহাপরিচালক মোহাঃ বোরহানুল হক, বাংলাদেশ কাস্টমসের অতিরিক্ত কমিশনার অরুন কুমার বালা, কোটালীপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফেরদৌস ওয়াহিদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ভবেন্দ্রনাথ বিশ্বাস পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান হাজরা, সাবেক পৌর মেয়র মোঃ কামাল হোসেন শেখ, গোদরেজের চিফ ফাইনান্সিয়াল অফিসার সন্দিপ হালদার, ঢাকা ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অব কোটালীপাড়া (ডুসাক) এর সাধারণ সম্পাদক রাসেল সিকদার বক্তব্য রাখেন।
আলোচনা সভা শেষে মোঃ শহীদ উল্লা খন্দকার কোটালীপাড়া উপজেলার ১৪৬জন কৃতি শিক্ষার্থীদের হাতে সম্মাননা স্মারক ও সনদ এবং বই তুলে দেন।
এর আগে তিনি কোটালীপাড়ার রামশীল (সন্ধ্যা) নদীতে নৌকা বাইচসহ উপজেলার ৩২৫টি মন্দিরে ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলার ৯৫টি মন্দিরের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের হাতে দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রেরিত অনুদানের অর্থ তুলে দেন।
এ সময় এই দুটি উপজেলার আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ অন্যান্য সহযোগি সংগঠনের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।