ভারত থেকে পাইপলাইনে ডিজেল আসছে কাল

পাইপলাইনের মাধ্যমে ভারত থেকে ডিজেল আমদানি শুরু হচ্ছে আগামীকাল শনিবার থেকে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আগামীকাল শনিবার বিকেল ৫টায় 'ভারত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন' উদ্বোধন করবেন।
২ দেশের মধ্যে প্রথম আন্তঃসীমান্ত জ্বালানি তেলের পাইপলাইনটির বার্ষিক ১ মিলিয়ন টন হাই-স্পিড ডিজেল (এইচএসডি) পরিবহনের সক্ষমতা রয়েছে এবং এটি প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের ৭ জেলায় ডিজেল সরবরাহ করবে।
৩৭৭ কোটি রুপির এই পাইপলাইনের মধ্যে বাংলাদেশের অংশটি ভারতীয় অনুদানের সহায়তায় প্রায় ২৮৫ কোটি রুপি ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে।
প্রথম দিনে পাইপলাইনে আসবে এক কোটি লিটার ডিজেল।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
বিপিসির চেয়ারম্যান এ বি এম আজাদ আজ শুক্রবার গণমাধ্যমে বলেন, পাইপলাইনে ডিজেল আমদানির কার্যক্রমটি শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টার সময় দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন। উদ্বোধনের দিন পাইপলাইনে আসবে এক কোটি লিটার ডিজেল। পরবর্তী সময়ে এলসি খোলা সাপেক্ষে বাংলাদেশে ডিজেল আসবে।
তিনি আরো বলেন, পার্বতীপুরের পুরনো ডিপোতে যথেষ্ট জায়গা থাকায় সেখানেই আমদানি করা ডিজেল সংরক্ষণ করা হবে। নতুন ডিপোর কাজ চলমান। পাইপলাইনে ডিজেল আসা শুরু হলে আমাদের অনেক সময় সাশ্রয় হবে এবং কমে আসবে পরিবহন ব্যয়ও। এতে খুব সহজে উত্তরবঙ্গে ডিজেল সরবরাহ করা যাবে।
ভারত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন স্থাপন প্রকল্পের পরিচালক টিপু সুলতান গণমাধ্যমে বলেন, নতুন ডিপোর কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত পার্বতীপুরের পুরনো ডিপোতে ডিজেল রাখা হবে। আশা করছি চলতি বছরই নতুন ডিপোর নির্মাণকাজ সম্পন্ন হবে।
পাইপলাইনের মাধ্যমে ভারত থেকে ডিজেল আমদানির জন্য ভারতীয় অংশে ৫ কিলোমিটারসহ প্রায় ১৩১ দশমিক ৫ কিলোমিটার ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন (আইবিএফপিএল) নির্মাণ করা হয়েছে। এই পাইপলাইন দিয়ে ১৫ বছর ডিজেল আমদানি করা হবে। প্রথম তিন বছর দুই লাখ মেট্রিক টন, পরবর্তী তিন বছর তিন লাখ, পরবর্তী চার বছর পাঁচ লাখ, অবশিষ্ট পাঁচ বছর ১০ লাখ মেট্রিক টন ডিজেল আমদানির কথা রয়েছে।