চীনকে টেক্কা দিতে চায় কানাডা!

ইন্দো-প্যাসিফিক (প্রশান্ত মহাসাগরীয়) অঞ্চলে নতুন কৌশল গ্রহণ করতে যাচ্ছে কানাডা। এ অঞ্চলে দেশটি নিজেদের কর্তৃত্ব বাড়াতে চায়। এ লক্ষ্যে নতুন অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক কৌশল উন্মোচন করতে চাচ্ছে দেশটি। এর প্রধান কারণ, এই অঞ্চলে চীনের শক্তিশালী উপস্থিতিকে ঝুঁকি মনে করছে কানাডা। এই ঝুঁকি কমাতে আগামী পাঁচ বছরে ২.৩ বিলিয়ন কানাডিয়ান ডলারের একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে ট্রুডো সরকার।
কানাডা সরকার কৌশলগত প্রকল্পটি পাঁচটি প্রধান পরিকল্পনার ওপর ভিত্তি করে তৈরি করেছে। এগুলো হলো- শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে যুদ্ধজাহাজ প্রেরণ, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ জোরদার, আন্তর্জাতিক নারীবাদী তৎপরতা বৃদ্ধি, টেকসই অবকাঠামো নির্মাণে অর্থায়ন এবং অটোয়ার কূটনৈতিক উপস্থিতি জোরদার করা।
কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জোলি এক বিবৃতিতে গতকাল রোববার বলেন, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের ভবিষ্যৎ আমাদেরও ভবিষ্যৎ। এর জন্য আমরা এ অঞ্চলের জন্য সত্যিকার ও নির্ভরযোগ্য অংশীদার হতে চাই। আমরা চাই কানাডার শক্তিশালী উপস্থিতি অঞ্চলটিতে বিরাজ করুক।
ফ্রান্সের লা প্রেসের সাথে এক সাক্ষাৎকারে জোলি বলেন, অটোয়ার সাথে বেইজিংয়ের ভাল সম্পর্ক রয়েছে। তবে আমরা বেইজিংকে বার্তা দিতে চাই, তারা এই অঞ্চলে আন্তর্জাতিক আইনকে তোয়াক্কা না করেই নিজ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। তারা পরিস্থিতি নিজেদের মতো করে পরিবর্তন করছে, কানাডা এটা হতে দিতে চায় না।
জোলি বলেন, বেইজিংয়ের সাথে ব্যবসা বন্ধ করার ঝুঁকি এখনই আমরা নেব না। আমরা ঝুঁকিগুলোকে চিহ্নিত করব এবং ভূ-রাজনৈতিক দিক দিয়ে সতর্ক পদক্ষেপ ফেলব। আগামী দশকে ইন্দো-প্যাসিফিকে আমাদের উপস্থিতি জোরদারে একটি সুস্পষ্ট রোডম্যাপ বাস্তবায়ন করা হবে। এতে আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তা বৃদ্ধি পাবে বলে আমরা মনে করি।
খবরে বলা হচ্ছে, সাম্প্রতিক সময়ে কয়েকটি আন্তর্জাতিক ইভেন্টে কানাডার সক্রিয় উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। ইন্দোনেশিয়ার বালিতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন, কম্বোডিয়ায় আশিয়ান শীর্ষ সম্মেলন এবং ব্যাংককে অ্যাপেকের বৈঠকে ট্রুডোর সাথে জোলিও অংশ নেন।
জি-২০ সম্মেলনে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ট্রুডোকে তিরস্কার করছেন এমন একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। এসব ঘটনার পরই কানাডার নতুন কৌশলগত অবস্থানের বিষয়টি সামনে এলো।
সূত্র: ২৪ লাইভ নিউজ।