শিক্ষিকার শাসনে দাঁত পড়ে গেল শিক্ষার্থীর

ছাত্রকে স্কেল দিয়ে মেরে দাঁত ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বরিশাল শহরের বাণীমন্দির সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালেয়ের এক শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। ঘটনার একদিন পরে বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চলছে আলোচনা-সমালোচনা। তবে নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করে নানা অজুহাত দেখাচ্ছেন ওই শিক্ষক। এ ঘটনায় অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা।
শিক্ষকের পিটুনির শিকার বাণীমন্দির সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র মঈনউদ্দিন জানায়, গতকাল রোববার দুপুরে স্কুলে সহপাঠীদের সঙ্গে দুস্টুমি করছিল সে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তুহিন কনা স্কেল দিয়ে তার মুখে আঘাত করেন। এতে তার ঠোট ফেটে গিয়ে উপর পাটির একটি দাঁত পড়ে যায়।
ছাত্রের বাবা আলাউদ্দিন বলেন, ‘ওই শিক্ষককে শিক্ষার্থীরাসহ অভিভাবকরাও ভয় পান। এর আগেও শিক্ষার্থীদের এভাবে মারধরের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। আমার ছেলেকে এভাবে নির্যাতন করার বিচার চাই আমি।’
নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করে তুহিন কনা জানান, দুষ্টুমি করার কারণে তাকে শাসন করা হয়েছে। নির্যাতনের মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি। আর যে দাঁতটি পড়ে গেছে, সেটি আগের থেকেই নড়ছিল তাই ঘটনার সময় পড়ে যেতে পারে।
পিকু মণ্ডল নামে অপর এক ছাত্রের অভিভাবক জানিয়েছেন, তার সন্তান এই শিক্ষিকার ভয়ে বিদ্যালয়েই যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। সালাম আক্তার নামে অপর এক অভিভাবক জানান, কয়েকদিন আগে এক মেয়েকে পিটিয়ে জখম করেছিলেন ওই শিক্ষিকা। যার মীমাংসা স্থানীয়ভাবে সালিশের মাধ্যমে করা হয়।
স্কুলটির প্রধান শিক্ষক সুষমা ঘোষ জানিয়েছেন, ঘটনাটি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন।
এদিকে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহন লাল দাস জানান, শিক্ষার্থী নির্যাতন দূরের কথা, তাদের ধমক দেওয়ার নিয়ম নেই। এ অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, ওই স্কুলে প্রাক প্রাথমিক থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত ৪২৩ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। ১৪টি পদের বিপরীতে শিক্ষক রয়েছে ১৩ জন।