আমতলীতে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই সহোদর নিহত

এইচ এম কাওসার মাদবর, আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি: পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কের আমতলীর কেওয়াবুনিয়া নামক স্থানে রোমার-সোনালী পরিবহন বাসের চাপায় ভাঙ্গারী ব্যবসায়ী সহোদর নিহত হয়েছে।
সোমবার সন্ধ্যা রাত সাড়ে ছয়টার দিকে। খবর পেয়ে পুলিশ ও দমকল বাহিনীর লোকজন ঘটনাস্থল থেকে নিহত সহোদ্বরের মরদেহ উদ্ধার এবং ঘাতক বাসটি জব্দ করেছে।
জানা গেছে, উপজেলার পুর্ব চুনাখালী গ্রামের ইসরাইল আকনের ছেলে আলম আকন ও আব্দুল্লাহ দীর্ঘদিন ধরে ভাঙ্গারী ব্যবসা করে আসছেন।
সোমবার সকালে ব্যাটারী চালিত ভ্যান গাড়ীতে ভাঙ্গারীর মালামাল নিয়ে বরিশাল যায়। বরিশাল থকে বাড়ী ফেরার পথে ওইদিন সন্ধ্যা রাত সাড়ে ছয়টার দিকে পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কের কেওয়াবুনিয়া নামক স্থানে মোড় ঘুড়তে গিয়ে ঢাকাগামী রোমার-সোনালী পরিবহন বাস ভ্যানটিকে চাপা দেয়। এতে ওই ভ্যানে থাকা সহোদ্বর আলম আকন (৩০) ও আব্দুল্লাহ (১৭) ঘটনাস্থলেই নিহত হয়।
খবর পেয়ে আমতলী থানা পুলিশ ও দমকল বাহিনীর লোকজন ঘটনাস্থলে আসে। নিহতের মরদেহ পুলিশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পুলিশ ঘাতক বাসটি জব্দ করেছে। চালক ও হেল্পার পালিয়ে গেছে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। সহোদ্বরের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
স্থানীয় কয়েকজন বলেন, মহাসড়কের কেওয়াবুনিয়া মোড় ঘুড়তে গিয়ে দ্রুতগামী বাসটি ভ্যানটিকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই সহোদ্বর নিহত হয়।
নিহত সহোদ্বরের বাবা ইসরাইল আকন কান্নাজনিত কন্ঠে বলেন, মোর সব শ্যাষ অইয়্যা গ্যাছে। ক্যারা মোরো আব্বা কইল্ল্যা ডাকবে। ও আল্লা মোর এ্যামন সর্বনাশ হরল্লা ক্যান। এ্যার চাইতে মোরো আল্লা লইয়্যা যাইতা।
থানার ওসি একেএম মিজানুর রহমান বলেন, নিহত সহোদ্বরের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।