মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: মিরসরাই উপজেলার বাজারগুলোতে বন্যার প্রভাবে ও সরবরাহ কমে শুকনো খাবারের সংকট দেখা দিয়েছে। উপজেলার কোনো বাজারে দু’দিন আগে থেকে চিড়া, মুড়ি ও গুড় পাওয়া যাচ্ছে না। বাজারে সবজি থাকলেও বিক্রি হচ্ছে দ্বিগুণ দামে। এছাড়া আলু, পেঁয়াজ কেজিতে বেড়েছে ২০ থেকে ৩০ টাকা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঘণ্টায় ঘণ্টায় বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে শুকনো খাবারসহ বিভিন্ন পণ্য সামগ্রীর দাম। টাকা দিয়েও চিড়া, মুড়ি ও গুড় না পাওয়ার ঘটনা ঘটছে। এক রাতের ব্যবধানে চিড়ার দাম বাড়ানো হয়েছে কেজিপ্রতি প্রায় ৩০ টাকা। মুড়ির দামও বাড়ানো হয়েছে। ৭০ টাকার মুড়ি রাতের মধ্যে হয়ে গেছে ৮০ টাকা। একশ টাকার নিচে মিলছে না তরকারি। সরবরাহ না থাকায় বাড়ছে বিভিন্ন জিনিসের দাম। বানভাসি মানুষকে পুঁজি করে ব্যবসা করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা।
বন্যার কারণে চট্টগ্রামে রেলপথ পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। ফেনীর লালপোল এলাকায় মহাসড়কের ওপর দিয়ে তীব্র স্রোতে পানি গড়ানোর ফলে যানবাহনও চলাচল করতে পারছে না। বন্যার্তদের সহায়তায় সর্বস্তরের মানুষ এগিয়ে এসেছে। এতে করে এখানকার দোকানগুলোতে শুকনো খাবারসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় কিছু জিনিসপত্রের ওপর চাপ পড়ে।
ত্রাণ কার্যক্রমে জড়িত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতা ইকবাল হোসেন বলেন, বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ পাঠানোর জন্য চিড়া,মুড়ি, বিস্কুট ও পানিসহ বিভিন্ন পণ্যের সংকট তৈরি করা হয়েছে। ৬০-৭০ টাকার জিনিসপত্রের ওপর কেজিপ্রতি ১০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। আবার টাকা দিয়েও বাজারে জিনিসপত্র পাওয়া যাচ্ছে না। চিড়া ও মুড়ির সংকট তৈরি করা হয়েছে। এই সুযোগটিকে কাজে লাগিয়ে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে বাড়তি টাকা।
বড়তাকিয়া বাজারে আসা সৈদালী এলাকার বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম বলেন, বাজারে এসে দেখি সব সবজির দাম দ্বিগুণ বেড়ে গেছে। তিনদিন আগে কেনা ৬০ টাকার ঝিঙ্গা এখন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। কাঁচামরিচতো কেনার সাধ্য নেই। ৮০০ টাকা কেজি। সব সবজির দাম অনেক বেড়েছে।
মিরসরাই পৌর সদরের ব্যবসায়ী জানে আলম বলেন, দোকানে যা ছিল প্রথমদিনেই শেষ। এরপর যানজটের কারণে পণ্য আসা সম্ভব হচ্ছে না। আমরা ফেনী থেকে মালামাল নিয়ে আসি, কিন্তু সেখানে বন্যা হওয়ায় দোকান খুলেতে পারিনি। অর্ডার দিয়েও মাল আসছে না।
বারইয়ারহাট বাজারের ব্যবসায়ী আমিনুল হক জানান, অনেক খোঁজাখুঁজি করেও চিড়া মুড়ির সংস্থান করতে পারেননি। তবে আজকের মধ্যে চিড়া ও মুড়িসহ অন্যান্য পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক হয়ে যাবে।