মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: পোল্ট্রি ব্যবসা করে ঘুরে দাঁড়ানো স্বপ্নবান যুবক জাহিদ হোসেন বাপ্পী। ১৮ বছরের পথচলায় গড়ে তুলেন ২০টি ছোট-বড় খামার। আর সেসব খামার স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার করাল গ্রাসে তলিয়ে যায়। পথে বসে যান স্বপ্নবান যুবক বাপ্পী। টানা ছয় দিন পানিবন্দী হয়ে তার খামারগুলোর প্রায় ৬০ হাজার মুরগি মারা গেছে। এতে প্রায় ৬০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার হিঙ্গুলী ইউনিয়নের পূর্ব হিঙ্গুলী গ্রামের বাসিন্দা জাহিদ হোসেন বাপ্পী ২০০৬ সাল থেকে পোল্ট্রি খামার ব্যবসার সাথে জড়িত। বাপ্পী পোল্ট্রি ফার্ম নামে তার গড়ে তোলা খামার ক্ষুদ্র আকারে শুরু করে এখন বিস্তৃতি ঘটিয়ে মিরসরাই্ উপজেলা ও পার্শ্ববর্তী ছাগলনাইয়া উপজেলায় ২০টি খামার গড়ে তুলেন। এসব খামারে ব্রয়লার ও সোনালী মুরগি ছিল। এসব শেডে ছিল প্রায় ৮০ হাজার ব্রয়লার ও সোনালী মুরগি। স্মরণকালের বন্যায় প্রায় ৬০ হাজার মুরগি মারা যায়। এতে ক্ষয়ক্ষতি হয় প্রায় ৬০ লাখ টাকা।
খামারি জাহিদ হোসেন বাপ্পী বলেন, ‘বন্যায় আমার সব শেষ হয়ে গেছে, একেবারে পথে বসে গেছি; নিঃস্ব হয়ে গেছি। ১৮ বছর ধরে তিলে তিলে ২০ টি খামার গড়ে তুলি। এরমধ্যে কয়েকটি খামার ব্যাংক লোন নিয়ে গড়ে তুলি। এখন কিভাবে মাথা তুলে দাঁড়াবো বুঝতেছি না।’
বারইয়ারহাট পৌর বাজারের ব্যবসায়ী সালাউদ্দিন মোর্শেদ বলেন, ‘বাপ্পী প্রায় ১৮ বছর ধরে পোল্ট্রি ব্যবসার সাথে জড়িত রয়েছে। অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে তিনি সফল খামারি হিসেবেও পরিচিতি লাভ করেন। কিন্তু এবারের ভয়াবহ বন্যা তার সবকিছু কেড়ে নিয়েছে।’
মিরসরাই উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. জাকিরুল ফরিদ বলেন, ‘বন্যায় মিরসরাই পোল্ট্রি সেক্টরে বড় ক্ষতি হয়েছে। জাহিদ হোসেন বাপ্পী নামের এক খামারিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে শুনেছি।’