রমজান আলী, সাতকানিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: সাতকানিয়ার বিপুল পরিমাণ জমি চলে যাচ্ছে অকৃষি খাতে। এভাবে চললে একদিন হয়তো চাষাবাদের জন্য জমি ফুরিয়ে যাবে- এমন আশঙ্কা অমূলক নয়। চট্টগ্রাম জেলা সাতকানিয়া উপজেলায় আশঙ্কাজনক হারে হ্রাস পাচ্ছে ফসলি জমি ফসলের মাঠে খনন করা হচ্ছে দীঘি ও গড়া হচ্ছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ফসলি জমি মাটি গিয়েছে ইটভাটায়। প্রশাসনের অনুমোদন না নিয়েই বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ, পুকুর খনন ও বসতবাড়ি নির্মাণ করা হচ্ছে ফসলি জমিতে। কৃষি জমির সুরক্ষা আইন থাকলেও তা কেউ মানতে চাচ্ছে না। ফলে প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ কৃষি জমি চলে যাচ্ছে অকৃষি খাতে।
সাতকানিয়া কৃষিজমি দিন দিন কমছে। কমেছে উৎপাদনের পরিমাণ। কৃষিজমিতে অপরিকল্পিত আবাসন, কলকারখানা আর ইটভাটা গড়ে তোলা হয়েছে। পাশাপাশি এসব কলকারখানা আর ইটভাটার কালো ধোঁয়া নষ্ট করছে ফসল।
স্থানীয় কৃষকরা অভিযোগ করে বলেন, গত কয়েক বছর ধরে ধান ও বিভিন্ন সবজি পরিমাণ কমেছে। এর কারণ হিসেবে কলকারখানা আর ইটভাটার কালো ধোঁয়াকে দুষছেন তারা।
সম্প্রতি উপজেলার কেরানীহাট, সাতকানিয়া সদর, ফুলতলা, মৌলবির দোকান,বাজালিয়া এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, এক দশক আগের কৃষিজমি, পুকুর ভরাট করে আধা পাকা ও পাকা দালানকোঠা নির্মাণ করে থাকছে অনেক পরিবার। কেরানীহাট এচিয়া ও মিঠারদির্ঘী এলাকায় অবৈধ ইটভাটা যেখানে দেখা গিয়েছে কৃষি জমির মাটির স্তুপ।
অনেকে স্থানে পুকুর ভরাট করে স্থাপনা করতে দেখা গেছে। এভাবে অপরিকল্পিতভাবে জমি ভরাটের ফলে কৃষি উৎপাদন কমছে উদ্বেগজনক হারে।
সাতকানিয়া উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্যমতে, সাতকানিয়া উপজেলায় বিগত তিন বছরের আবাদি জমির পরিমান পরিসংখ্যান, ২০২১ সাল ১৩১৮৯০, ২০২২সাল: ১৩১৮৪হে. ২০২৩সাল: ১৩১৮০হে. ২০২৪ সাল: ১৩১৭৫হে. অনাবাদি জমি পরিসংখ্যান ২০২২সাল: ২৯৫হে. ২০২৩ সাল: ২৪০হে. ২০২৪সাল: ২২০হেক্টর। বিগত ২ বছরে ৯ হেক্টর কৃষি জমি নষ্ট হয়েছে।
সাতকানিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার মনিরুজ্জামান বলেন, অনাবাদি জমিতে ফলের চারা রোপণ সহ বসতবাড়িতে পারিবারিক পুষ্টিবাগান স্থাপন ও বিভিন্ন শাক সবজি চাষের মাধ্যমে অনাবাদি জমি আবাদের আওতায় আনা হয়েছে।
সাতকানিয়া উপজেলা নিবার্হী অফিসার বলেন, আমরা যদি এই রকম কোনো অভিযোগ পাই তাহলে আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।