ঢাকা
২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
রাত ৩:৩৫
logo
প্রকাশিত : আগস্ট ১৯, ২০২৪
আপডেট: আগস্ট ১৯, ২০২৪
প্রকাশিত : আগস্ট ১৯, ২০২৪

রিমান্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিচ্ছেন সালমান-পলক-জিয়াউল

শিক্ষার্থীদের টানা আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। এরপর দলটির অনেক মন্ত্রী-এমপি ও বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা আত্মগোপনে চলে যায়। কেউ আবার সুযোগ বুঝে দেশ ছেড়েছেন। তবে, আন্দোলনে গুলি করে ছাত্র-জনতা হত্যা মামলায় অনেককে আসামি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে রিমান্ডে রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক এবং এনটিএমসির সাবেক ডিজি বরখাস্তকৃত মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান। তারা রিমান্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিচ্ছেন।

জানা গেছে, গ্রেপ্তারকৃতরা দেশের বড় বড় দুর্নীতির জন্য শেখ হাসিনা ও তার ঘনিষ্ঠজনদের দায়ী করছেন। অনেক কর্তাব্যক্তি আবার সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের কথা বলে নিজেরাই বাগিয়ে নিতেন বড় বড় কাজ।

সূত্র বলছে, শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির বিষয়ে সালমান এফ রহমান এখনও মুখ খোলেননি। তবে, মোহাম্মদ আলী আরাফাত নির্বাচনের বিষয়ে যাবতীয় নীলনকশা করেছিলেন বলে দাবি করেন তিনি। কেবল নির্বাচনের জন্যই তারা কয়েকজন শত কোটি টাকা নিজেদের পকেটে ভরেছেন।

জিজ্ঞাসাবাদে সালমান আরও জানান, জ্বালানি সেক্টরের সবকিছুই নিজে ডিজাইন করতেন সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। একইসঙ্গে বাপেক্সকে দেশের কল্যাণের বাইরে নিজের কল্যাণে ব্যবহার করতেন তিনি।

এদিকে, সরকারের নির্দেশেই অপরাধে জড়িয়েছেন বলে জানান জুনায়েদ আহমেদ পলক। ইন্টারনেট শাটডাউনের বিষয়েও দায় অস্বীকার করেছেন। তার ভাষ্য, ইন্টারনেট বন্ধের বিষয়ে তার একক কোনো সিদ্ধান্ত ছিল না। সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানের নির্দেশনা মেনে তিনি ইন্টারনেট শাটডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এছাড়া ইন্টারনেট শাটডাউনের ক্ষেত্রে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সায় ছিল।

এ ছাড়া সাবেক এনটিএমসির ডিজি জিয়াউল আহসানও তার সব অপরাধের জন্য শেখ হাসিনা এবং তার সাবেক সামরিক উপদেষ্টা তারিক সিদ্দিককে দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, তাদের নির্দেশেই তিনি সবকিছুই করেছেন। এনটিএমসি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে হলেও তা চলত তারিকের ইশারায়।

জিয়াউল আহসানের বিরেুদ্ধে খুন, গুম ও অসংখ্য ব্যক্তির ফোনে আড়িপাতার অভিযোগ রয়েছে।

তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানান, আসামিদের সব তথ্য এখনই আমলে নেওয়া হচ্ছে না। এগুলো যাচাইবাছাইয়ের কাজ চলছে। একই সঙ্গে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের সম্পর্কে আগে আসা অভিযোগগুলোও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

সর্বশেষ
logo
প্রকাশকঃ অধ্যাপক ড. জোবায়ের আলম
কার্যালয় : বিটিটিসি বিল্ডিং (লেভেল:০৩), ২৭০/বি, তেজগাঁও (আই/এ), ঢাকা-১২০৮
মোবাইল: +880 2-8878026, +880 1300 126 624
ইমেইল: tbtbangla@gmail.com (online), ads@thebangladeshtoday.com (adv) newsbangla@thebangladeshtoday.com (Print)
বাংলাদেশ টুডে কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বে-আইনী।
Copyright © 2024 The Bangladesh Today. All Rights Reserved.
Host by
linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram