হোসাইন মোহাম্মদ দিদার, দাউদকান্দি (কুমিল্লা) প্রতিনিধি: নিজ বাসার নিরাপত্তাজনিত কারণে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের পর ভাংচুরের অভিযোগের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করার কারণে প্রবাসির স্ত্রী ভুক্তভোগী সুমাইয়া আক্তারকে বেধড়ক মারধর ও শ্লীলতাহানি করেছেন এক নারী ও তার সহযোগীরা।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে নৈয়ার এলাকার নিজ বাসভবনে এ সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তুলে ধরে স্থানীয় ইলেকট্রনিকস ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকের উদ্দেশ্যে সুমাইয়া আক্তার বলেন, "আমার স্বামী দেলোয়ার হোসেন সৌদি আরবে অবস্থান করায় আমি আমার একমাত্র তিন বছর বয়সী মেয়েকে নিয়ে বাসায় থাকি। এতে আমার ভয় কাজ করে। চোর-ডাকাতের ভয়ে নিজের নিরাপত্তার স্বার্থে আমি আমার বাসায় সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করি। এতেই আমার প্রতি ক্ষিপ্ত হয় আমার জা পারুল আক্তার।
ভুক্তভোগী সুমাইয়া আক্তার আরও বলেন, আমার বাসার সিসিটিভি ক্যামেরা ভাংচুর করার ভিডিও ফুটেজ আছে, এতে স্পষ্ট দেখা যায় আমার জা পারুল আক্তার আমার বাসার সিসিটিভি ভাংচুর করেছে।
সাংবাদিকরা চলে আসার পর সুমাইয়ার ওপর আরও ক্ষিপ্ত হয়ে তার জা পারুল আক্তার সুমাইয়াকে চুলের মুঠি ধরে টেনে হেচরে ঘরের ভিতরে নিয়ে দরজা বন্ধ করে বেধড়ক মারধর, শ্লীলতাহানি ও সঙ্গে থাকা স্বর্ণালংকার জোরপূর্বক খোলে নিয়ে যায়। এমন একটি ভিডিও সাংবাদিকদের হাতে এসেছে। এবং পরবর্তীতে পুনরায় সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করতে চাইলে তাও ভাংচুর করে খুলে নিয়ে যায়।
পরবর্তীতে সুমাইয়ার নিকটাত্মীয়রা এসে গুরতর আহত অবস্থায় তাকে গৌরীপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ভর্তি দিয়ে ওয়ার্ডে পাঠান।
সুমাইয়ার স্বামী সৌদি প্রবাসি দেলোয়ার হোসেন সিসিটিভি ক্যামেরা ভাংচুর, স্ত্রীকে মারধর, শ্লীলতাহানি ও সঙ্গে থাকা স্বর্ণালংকার জোরপূর্বক খোলে নেওয়ার বিচারের দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে দাউদকান্দি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জুনায়েত চৌধুরী বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী।