ভারতের দিল্লির একটি কোচিং সেন্টারে বন্যার পানিতে ডুবে তিন শিক্ষার্থীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। ওই কোচিং সেন্টারটি যেখানে অবস্থিত সেখানকার বেজমেন্টে আকস্মিকভাবে বন্যার পানি ঢোকে। এতে সেখানে তিন শিক্ষার্থী চার ঘণ্টারও বেশি সময়ের জন্য আটকে যায়। পরবর্তীতে তাদের মৃত্যু হয়।
রোববার (২৮ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার সন্ধ্যার দিকে দিল্লিতে ভারী বৃষ্টিপাত হয়। এতে পশ্চিম দিল্লির রাজেন্দ্র নগরের জনপ্রিয় আইএএস স্টাডি সার্কেল কোচিং সেন্টারের বেজমেন্ট প্লাবিত হয়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শনিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭ টা ১৯ মিনিটে শিক্ষার্থীদের বেজমেন্টে আটকে থাকার বিষয়ে তারা কল পান। তার পরেই পাঁচটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পাঠায় কর্তৃপক্ষ। শুরু হয় উদ্ধারকাজ। পরে উদ্ধারকাজে যোগ দেয় জাতীয় বিপর্যয় মোকাবেলা বাহিনীও (এনডিআরএফ)।
পুলিশ জানিয়েছে, প্লাবিত হওয়ার সময় কোচিং সেন্টারটিতে মোট ৩৩ জন শিক্ষার্থী ছিল। প্রবল বৃষ্টির সময়ে হঠাৎই বেজমেন্টে পানি ঢুকতে শুরু করে। বেশিরভাগ শিক্ষার্থী বেরিয়ে যেতে সমর্থ হলেও কয়েকজন আটকা পড়েন।
যে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে তাদের মধ্যে দুটি নারীর। বাকি মরদেহটি এক পুরুষ শিক্ষার্থীর। উদ্ধার অভিযান চালিয়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে কর্মকর্তারা কর্মকর্তারা প্রথম মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন। কারণ এনডিআরএফ ডুবুরিরা একটি নারীর মরদেহ বের করতে সক্ষম হয়েছিল। দ্বিতীয় লাশটিও একটি নারীর, রাত সোয়া এগারোটার দিকে বের করা হয়। ডুবুরিরা মধ্যরাতের পর পুরুষ ছাত্রের তৃতীয় মরদেহ উদ্ধার করে।
যেখানে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে সেখানকার রাস্তাঘাটেও দুই থেকে তিন ফুট পানি জমা হয়েছে। আর রাস্তায় পানি উঠে যাওয়ায় সেগুলো বেজমেন্টে প্রবেশ করেছে।
দিল্লির ডেপুটি পুলিশ কমিশনার এম হর্ষবর্ধন বলেছেন, ‘পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থার জন্য মরদেহ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। উদ্ধার তৎপরতা এখনও চলছে। পানি বের করা হচ্ছে। বেসমেন্টে এখনও প্রায় ৭ ফুট পানি রয়েছে।’
দিল্লি ফায়ার সার্ভিসের প্রধান অতুল গর্গ জানান, বেসমেন্টে কেউ আটকা পড়ে থাকতে পারেন– এমন ধারণায় উদ্ধার অভিযান চলছে।