ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টানা দশমবারের মতো টেস্ট সিরিজ জয় করলো দক্ষিণ আফ্রিকা। গায়ানা টেস্টে ক্যারিবিয়ানদের ৪০ রানে হারিয়ে নিজেদের সাফল্যের ধারা অব্যাহত রেখেছে প্রোটিয়ারা। এটি ২০২৩-২৫ মৌসুমের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় জয়।
সর্বশেষ ১৯৯২ সালের এপ্রিলে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ জিতেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে গিয়ে ওই সিরিজে একটি ম্যাচ খেলেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরপর ১০টি সিরিজ খেললেও আর জয়ের মুখ দেখেনি ক্যারিবিয়ানরা।
গায়ানা প্রভিডেন্সে জয়ের জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের দরকার ছিল ২৬৩ রান। কাগিসো রাবাদা ও কেশব মহারাজের তোপের মুখে ২২২ রানেই গুটিয়ে যায় ক্যারিবিয়ানরা।
এই ম্যাচে মোট ৫ উইকেট আর সিরিজে ১৩ উইকেট নিয়ে দুর্দান্ত এক রেকর্ড করেন মহারাজ। দক্ষিণ আফ্রিকার স্পিনার হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ১৭১ উইকেট শিকার করেন তিনি। সিরিজসেরাও নির্বাচিত হন মহারাজ। দক্ষিণ আফ্রিকা এই স্পিনার প্রতাপে ম্লান হয়ে যায় দুই ম্যাচের সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয়ডান সিলসের ১২ উইকেট ও গায়ানা টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ক্যারিয়ারসেরা ৬১ রানে ৬ উইকেট শিকারের অবিশ্বাস্য কীর্তি।
বোলিংবান্ধব পিচে ২৬৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নামা ওয়েস্ট ইন্ডিজ শিবিরে প্রথম আঘাত করেন রাবাদা। ওপেনার মাইকেল লুইসকে ৪ রানের বেশি করতে দেননি তিনি। এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজ কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও দলীয় ৫৪ রানের মাথায় ওয়ান মুলদারের এলবিডব্লিউর ফাঁদে পা দেন ক্রেইগ ব্রাথওয়েট (৫৫ বলে ২৫)।
এরপর পিচে টিকে থাকার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন কেসি কার্টি (৪৭ বলে ১৭), কাভিম হজ (৩৮ বলে ২৯) ও অ্যালিক অ্যাথানজে (৪৫ বলে ১৫)। ১০৪ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
সপ্তম উইকেটে গুদাকেশ মতি ও জসুয়া ডি সিলভার জুটিতে ইতিগড়া জয়ের দিকে হাঁটছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা আর হলো না। ৭৭ রানের জুটি করেই ক্ষান্ত হন তারা। ফিফটির কাছাকাছি (৫৯ বলে ৪৫) গিয়ে মহারাজের এলব্ডিব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েন মতি। আর ২৭ রানে থেমে যান ডি সিলভা।
এরপর ৫০ বলে অপরাজিত ২৫ রান করেন জোমেল ওয়ারিকেন। শামার জোসেফ ও জয়ডান সিলস উইকেট বিলিয়ে দিলে ২২২ রানেই থেমে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
এই সিরিজ ব্যাটারদের জন্য ছিল পুরোই চ্যালেঞ্জিং। দু্ই ম্যাচের সিরিজটিতে একটিও সেঞ্চুরি হয়নি। এমনকি দ্বিতীয় ইনিংসে ফিফটিও করতে পারেনি স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের কোনো ব্যাটার। শুধুমাত্র একটি জুটিতে পঞ্চাশোর্ধ্ব রান করতে পেরেছে ক্যারিবীয়রা। সব মিলিয়ে পুরো সিরিজটাই ছিল বোলারদের।