ক্ষমতার পটপরিবর্তনের ফলে বিপিএল আয়োজন নিয়ে তৈরি হয়েছে শঙ্কা। বিপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজির বেশিরভাগ মালিকপক্ষ আগের সরকার দলীয় হওয়ায় তারা এখন গা ঢাকা দিয়েছেন। বিপিএলের গভর্নিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান শেখ সোহেল ও সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিকও লাপাত্তা। গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য জালাল ইউনুসও পদত্যাগ করেছেন। সব মিলিয়ে নির্ধারিত সময়ে বিপিএল আয়োজন করা তাই নতুন বোর্ডপ্রধান ফারুক আহমেদের জন্য অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ। তবে সেই চ্যালেঞ্জে জিততে মুখিয়ে রয়েছেন সাবেক এ অধিনায়ক।
বৃহস্পতিবার বিসিবির প্রথম বোর্ড মিটিং শেষে সংবাদ সম্মেলনে ফারুক আহমেদ জানিয়েছেন, বিপিএলের আসন্ন মৌসুম শুরু হবে ২৭ ডিসেম্বর, যা সামনে রেখে ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছেন তিনি।
বিপিএল আয়োজনসহ দেশের অন্যান্য ক্রিকেট লিগ ও খেলোয়াড়েরা যাতে শঙ্কার মুখে না পড়েন, সেদিকে চোখ রয়েছে ফারুক আহমেদের, যা নিয়ে তিনি বলেন, ‘বিপিএল নিয়ে...যারা এখন আমাদের বোর্ডে নাই, তাদের বেশ কিছু দলও ছিল, প্রিমিয়ার লিগ, ফার্স্ট ডিভিশন, থার্ড ডিভিশন...সব দলই ছিল। ওই দলগুলো এখন ক্ষতিগ্রস্ত। আমরা চাই খেলোয়াড়েরা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।’
বিপিএল নিয়ে ফারুক আহমেদ বলেন, ‘বিপিএল নিয়েও কথা বলছি আমরা। বিপিএল যথাসময়ে আয়োজনের চেষ্টা করছি। ২৭ ডিসেম্বর প্রথম ম্যাচ গড়ানোর কথা। ড্রাফটা সেপ্টেম্বরে করার চেষ্টা করব। বিপিএল আমরা এবার করব শিউর। তবে করার জন্যই করব না। এবার বিপিএলে অনেক কিছু দেখবেন। আমি বিপিএলের ফ্রাঞ্চাইজিগুলোর মালিকদের ইন্টারভিউ করব। বিপিএল নিয়ে তাদের চিন্তাভাবনা শুনব। কেউ যদি বিপিএল এবার কোনো রকম করে সামনে ভালো দল করার কথা বলে, এমন মানসিকতার দলগুলোর বিষয়ে ব্যবস্থা নেব। বিপিএলের ড্রাফট সামনে হবে। বিপিএল এবার ভিন্ন আঙ্গিকে হবে কোয়ালিটিফুল।’