যশোর প্রতিনিধি: যশোরে কাচ্চি ভাই খাবার হোটেলে পচা আলু দিয়ে রান্না করা কাচ্চি বিরিয়ানি পরিবেশনের অভিযোগে সংবাদ প্রকাশের পর শহরময় আলোচনার ঝড় উঠেছে।
প্রশাসনিক পদক্ষেপ এড়াতে তাদের চিকিৎসক ও বিভিন্ন পত্রিকা অফিসে দৌড়ঝাপ করতে দেখা গেছে। এমনকি যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে হৃদরোগের উপরে রোববার একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। ঐ সেমিনারে ওষুধ কোম্পানির মাধ্যমে চাহিদার প্রায় ৩০ভাগ ডিসকাউন্টে খাবার বিক্রি করেছেন বলে একটি ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধি সূত্রে জানা গিয়েছে।
জানা যায়, যশোর কাচ্চি ভাই খাবার হোটেলে পচা আলু দিয়ে রান্না করা কাচ্চি বিরিয়ানি ক্রেতাদের পরিবেশন করে ঠকাচ্ছেন। গত শনিবার যশোর মেডিকেল কলেজের শিশু বিভাগের সহকারি অধ্যাপক ডাক্তার ইমদাদুল হক রাজু বিদায়ী অনুষ্ঠানে কলেজ কর্তৃপক্ষ ১৭৫ প্যাকেট খাবারের অর্ডার করেন। অনুষ্ঠান শেষে শিশু বিভাগের কর্মচারী উপস্থিত চিকিৎসকদের খাবারের প্যাকেট প্রদান করেন। এ সময় চিকিৎসকরা খাবার খেতে গেলে দেখেন খাবারে বিরিয়ানি ভালো থাকলেও আলু নষ্ট ছিল এবং খাবার থেকে নষ্ট গন্ধ বের হতে থাকে। তখন কয়েক জন চিকিৎসক কাচ্চি ভাই খাবার হোটেলে গিয়ে অভিযোগ দেন এবং খাবার পরিবর্তন করে দিতে বলেন। কিন্তু ক্যাশ কাউন্টারে থাকা ম্যানেজার তাদের খাবার ভালো বলে দাবি করে খাবার ফেরৎ না নিয়ে চিকিৎসকদের বিদায় করেন। ফলে সকল খাবার চিকিৎসরা ফেলে দিতে বাধ্য হন।
বিষয়টি নিয়ে রোববার সোমবার স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিকে খবর প্রকাশিত হলে শহরময় আলোচনার ঝড় ওঠে। বিভিন্ন পেশাজীবিকে বলতে শুনা যায়, সামনে থেকে চকচক করলেও প্রতিষ্ঠানের ভিতরে আসলে চকচক নয়। বর্তমানে কাচ্চি ভাইয়ের হোটেলে নোংরা পরিবেশে রান্নার পাশাপাশি পচা-বাসি জিনিস দিয়ে খাবার তৈরি করছেন। একই সাথে খাবারের নিম্নমানের হলেও খাবারের বিপরিতে অতিরিক্ত অর্থ নিয়ে ক্রেতা ঠকাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন।
যশোর মেডিকেল কলেজের হিসাব রক্ষক দেলোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, কাচ্চি ভাইয়ের দোকান থেকে লোকজন কলেজে এসেছিল। তারা নষ্ট খাবারের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। আগামীতে এমন ভুল করবেন না বলে জানিয়েছেন।