ইসরায়েলের হয়ে স্বেচ্ছায় গাজা যুদ্ধে অংশ নেয়া অনেক ইসরায়েলি সেনা এখন আর গাজায় যুদ্ধে অংশ নিতে চান না। কারণ যুদ্ধে অংশ নেয়া অনেক সেনারা মনে করেন ইসরায়েল গাজা যুদ্ধ কেবল ফিলিস্তিনিদের জীবনকে দুর্বিষহ করেছে না বরং গোটা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে। ফলে ইসরায়েলি ১৩০ অনিয়মিত সেনা দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের কাছে একটি খোলা চিঠি দিয়েছেন। খবর সিএনএন’র।
এক প্রতিবেদনে সিএনএন জানায়, গত বছরের ৭ই অক্টোবর ইসরায়েলে ভয়াবহ হামলা চালায়নোর পরপরই গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। হামাসের হামলার পরই অনিয়মিত সেনা (রিজার্ভিস্ট) ইয়োতাম ভিল্ককে সামরিক বাহিনীতে কাজের জন্য ডাকা হয়নি। তবে তিনি স্বেচ্ছায় ইসরায়েলের হয়ে যুদ্ধ করতে যান। এরপর তিনি গাজায় ইসরায়েলি সেনাদের সঙ্গে ২৩০ দিন কাটিয়েছেন। তবে এখন আর তিনি যুদ্ধে যেতে চান না।
চলতি বছরের গ্রীষ্মে গাজায় ইসরায়েলি সেনাদের সঙ্গে দ্বিতীয় দফায় কাজ করার পর ইয়োতাম সেখানে যেতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। কারণ তিনি মনে করেন, গাজায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে ফিলিস্তিনিদের জীবনকে আরও কঠিন করে তোলার পাশাপাশি জিম্মি মুক্তি কঠিন করে তোলা হয়েছে। নেতানিয়াহু সরকার সেখানে শান্তি অর্জন করতে চায় না।
ফলে গত ৯ অক্টোবর ইয়োতামসহ ইসরায়েলি ১৩০ অনিয়মিত সেনা প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের কাছে একটি খোলা চিঠি দিয়েছেন। সেখানে তারা সরকারের হয়ে আর কোনো কাজ করবেন না বলে জানিয়েছেন। এই অনিয়মিত ইসরায়েলি সেনার মনে হয়েছে, যুদ্ধে সহযোগিতা করা থেকে সরে না দাঁড়ালে গাজায় আরেকটি দখলদারির যুদ্ধের অংশ হবেন তিনি।
ইয়োতাম ভিল্ক বলেন, ‘তারা আমাকে এক বীভৎস পরিস্থিতির মুখোমুখি করেছেন। আমি আমার নিজের সরকারের কাছ থেকে প্রতারিত বোধ করছি।’
ইয়োতামের মতো লেবানন সীমান্তে কাজ করা মার্ক ক্রেসও আর যুদ্ধে যেতে চান না। তিনি লেবানন সীমান্তে ৬৬ দিন দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বলেন, বাড়ি ফেরার পর থেকে তার মানিয়ে নিতে সমস্যা হচ্ছে। বিষণ্নতায় ভুগছেন তিনি।