পর্যাপ্ত সরবরাহের পরও চট্টগ্রামে ইলিশের দামে আগুন, ফলে বাজারে ক্রেতা নেই। দাম শুনেই মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন ইলিশ কিনতে যাওয়া ক্রেতারা।
অন্যান্য মাছ, মাংস, শাকসবজিসহ নিত্যপণ্যের বাজারও অস্থির। তদারকি না থাকায় সবকিছুর দাম ঊর্ধ্বমুখী বলে অভিযোগ ক্রেতাদের। এদিকে ডিম এবং মুরগীর ব্যাপারে সরকারি নির্দেশনাও উপেক্ষিত।
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সরেজমিন দেখা গেছে, মাঝারি থেকে একটু বড় সাইজের একেকটি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে কেজি ১৮শ থেকে ২২শ টাকা দরে। চট্টগ্রামে সব কাঁচাবাজারে বিক্রেতারা ইলিশের পশরা সাজিয়ে বসলেও আকাশচুম্বী দামের কারণে ক্রেতা নেই। অন্যান্য মাছের দামও উর্ধ্বমুখী, এ নিয়ে অজুহাতের যেন শেষ নেই বিক্রেতাদের।
তাদের দাবি, তারাও পাচ্ছেন না কম দামে। আড়ত থেকেই বেশি দাম রাখা হচ্ছে। যার কারণে বাধ্য হয়েই তাদেরকে এই দামেই ইলিশ বিক্রি করতে হচ্ছে।
মুরগির বাজারও বর্তমানে বেশ অস্থিতিশীল। সরকার দাম নির্ধারণ করে দিলেও চট্টগ্রামে বাজারে এর প্রভাব নেই। নির্দেশনা মানছে না কেউই।
অন্যদিকে ডিমের বাজারেও সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষিত। প্রশাসনের তদারকি না থাকায় প্রতি ডিমে ২-৩ টাকা বেশি নিচ্ছেন বিক্রেতারা। তাদের অভিযোগ, উৎপাদন পর্যায় থেকেই দাম বেশি চাওয়া হচ্ছে। ফলে তাদেরকেও কিছুটা বেশি দামে কিনে, বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে।
এদিকে সবজির বাজারেও স্বস্তির দেখা মেলেনি চট্টগ্রামের বাজারগুলোতে। সপ্তাহের ব্যবধানে ক্ষেত্র বিশেষ সবজি প্রতি দাম বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত।