আগামী দুই-তিন মাসের মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ চাইবেন বিএনপির নীতিনির্ধারকেরা। সেটি না হলে মার্চ-এপ্রিলের দিকে নির্বাচনের দাবিতে কর্মসূচি শুরুর চিন্তা করছেন দলটির নেতারা। সোমবার (৪ নভেম্বর) রাতে বিএনপির চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে স্থায়ী কমিটির সভায় এ বিষয়ে আলোচনা হয়। তবে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভায় একাধিক সদস্য নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো কোনো উপদেষ্টার বক্তব্য এবং তৎপরতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। কারও কারও কার্যক্রম নিয়ে সংশয়ের কথাও জানান কেউ কেউ।
সভা চলাকালে বিএনপির একজন সিনিয়র নেতা এ প্রসঙ্গে বলেন, এই মুহূর্তে নির্বাচনের জন্য সরাসরি দাবি না করে আমরা মার্চ কিংবা এপ্রিলেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া সম্ভব বলতে পারি। শুধু তাই নয়; কি প্রক্রিয়ায় সেটা সম্ভব সে বিষয়ে যথাযথ যুক্তি জাতির সামনে তুলে ধরতে পারি। এই নেতার মতের ভিত্তিতে অপর নেতারা নির্বাচনের রোডম্যাপ কবে হবে? কি প্রক্রিয়ায় ঘোষণা করা উচিত- তা বিস্তারিত তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলন করার প্রস্তাব দেন। এতে সম্মতি দেন সভার প্রধান নেতা তারেক রহমান।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য গণমাধ্যমকে বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের বক্তব্য, রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে দীর্ঘসূত্রতাসহ সরকারের নানা কর্মকাণ্ড নির্বাচন নিয়ে অনাগ্রহ স্পষ্ট হচ্ছে। সরকারের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দেহ ঘনীভূত হচ্ছে।
ওই সূত্র জানিয়েছে, সভায় নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে করা সার্চ কমিটিতে নাম প্রস্তাবের বিষয়েও আলোচনা হয়। আগামীকালের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোকে অনুসন্ধান কমিটির কাছে নাম প্রস্তাব করতে হবে। বিএনপি আজকের মধ্যে চারজনের নাম ঠিক করবে।
বিএনপির চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে স্থায়ী কমিটির সভায় মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সভায় ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত ছিলেন।