ঢাকা
১৯শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
রাত ১১:১৯
logo
প্রকাশিত : ডিসেম্বর ১১, ২০২৪

বেপরোয়া দুর্বৃত্তরা : ৩ মাসে চার শর বেশি ডাকাতি-দস্যুতা

হামলা চালিয়ে মালপত্র লুটের পাশাপাশি সড়কে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে দুর্বৃত্তরা। চলতি বছরের গত সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত তিন মাসে সারা দেশে চার শর বেশি ডাকাতি ও দস্যুতার ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় বেশ কজন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে তিন শতাধিক মানুষ।

আবার পরিকল্পিতভাবে হামলার অভিযোগও পাওয়া যাচ্ছে। এসব অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের বেশির ভাগ সড়কে সংঘটিত হয়েছে। পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

পুলিশ সূত্র জানায়, বর্তমানে সারা দেশে অপরাধের প্রবণতা বাড়ছে।

শুধু রাজধানীতে ডাকাতি ও দস্যুতায় জড়িত পাঁচ শতাধিক দুর্বৃত্ত। এদের বেশির ভাগ ভাসমান। তারা অপরাধ সংঘটিত করে রাজধানীর আশপাশের এলাকায় পালিয়ে যায়। বিভিন্ন সড়কের পাশে থাকা বস্তিতে আত্মগোপন করে।

এ নিয়ে জনজীবনে দেখা দিয়েছে উদ্বেগ।
পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত তিন মাসে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে তিন শতাধিক ব্যক্তি ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন। এ সময় ছিনতাইকারীদের ধারালো অস্ত্রে প্রাণ হারিয়েছেন বেশ কজন। ভুক্তভোগীরা নানা শ্রেণি-পেশার খেটে খাওয়া মানুষ। সর্বশেষ গত সোমবার নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মেঘনা সেতুর ঢালের সড়কে ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় আট সমন্বয়ক।

গতকাল মঙ্গলবার এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনায় আরো অনেকে জড়িত থাকার তথ্য দিয়েছে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা। সোনারগাঁ থানার ওসি মোহাম্মদ আব্দুল বারি জানান, বাকি অপরাধীদেরও গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। এর এক দিন আগে গত শনিবার রাতে পুরান ঢাকার কদমতলী এলাকায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে মনির হোসেন সানি ও মো. আলমগীর নামের দুই নিরাপত্তাকর্মী আহত হয়েছেন। বর্তমানে তারা ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন।

কদমতলী থানার ওসি বলেন, দুই যুবক রাতে বাসার দেয়ালের প্রাচীর টপকানোর চেষ্টা করেন। ওই সময় নিরাপত্তাকর্মীরা তাদের ধরে ফেলেন। তবে ওই দুই যুবক সড়কের নিরাপত্তাকর্মীদের লক্ষ্য করে গুলি করে পালিয়ে যান। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সূত্রগুলো বলছে, চলমান এই পরিস্থিতির লাগাম টানতে বিশেষ অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নেয় পুলিশ সদর দপ্তর। এই বিশেষ অভিযানে গত তিন মাসে কয়েক হাজার অপরাধী গ্রেপ্তার হয়েছে।

অপরাধ বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় এক ধরনের উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীগুলো ঠিকমতো জোরালো ভূমিকা রাখতে পারছে না। ফলে এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। অপরাধীচক্রগুলো এর সুযোগ নিচ্ছে।

পুলিশের আইজি বাহারুল আলম বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির উদ্ভব হলে তা মোকাবেলায় পুলিশকে ধৈর্যের সঙ্গে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করতে হবে। পুলিশকে জনগণের কাছে যেতে হবে। তাদের সমস্যা বা অভিযোগ শুনতে হবে এবং সেভাবে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।’

পুলিশের একটি সূত্র জানায়, গত তিন মাসে রাজনৈতিক সহিংসতাসহ বিভিন্ন অপরাধ ঠেকাতে ব্যস্ত রয়েছে পুলিশ। ফলে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড সার্বিকভাবে বেড়ে গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দলবদ্ধভাবে মালপত্র লুটের ঘটনায় অপরাধী পাঁচজনের বেশি হলে ডাকাতি, আর কম হলে দস্যুতার মামলা হয়।

ডিএমপি সদর দপ্তর সূত্র জানায়, ঢাকায় বেশির ভাগ ছিনতাই, ডাকাতির ঘটনা ঘটছে মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত। এ সময়ে ডাকাতদল সড়কে ও বাসাবাড়িতে হানা দিচ্ছে। আর ভোরের দিকে বাসস্ট্যান্ড, লঞ্চ টার্মিনাল, রেলস্টেশন ও বিদ্যুত্হীন অন্ধকার সড়কে বাসামুখী রিকশাযাত্রী কিংবা বাসা থেকে বের হয়ে টার্মিনালমুখী যাত্রীদের নিশানা করছে। বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, ব্যাংকের গ্রাহকদেরও টার্গেট করছে তারা। এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিশেষ অভিযানের পাশাপাশি পুলিশের টহল ও নিরাপত্তাচৌকি বসিয়ে তল্লাশি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

ডিএমপির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ছিনতাইকারীদের দৌরাত্ম্য বেশি গুলিস্তান, চানখাঁরপুল, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ এলাকা, মালিবাগ রেলগেট, বাড্ডা, মগবাজার, শাহবাগ, জিগাতলা বাসস্ট্যান্ড, ধানমণ্ডি, মোহাম্মদপুর, নিউ মার্কেট, মতিঝিল, যাত্রাবাড়ী ও উত্তরার বিভিন্ন এলাকায়।

পুলিশ মাঠ পর্যায়ের তথ্য বিশ্লেষণ করে জানতে পেরেছে, ঢাকায় সবচেয়ে বেশি ছিনতাইকারী ও ডাকাত রয়েছে তেজগাঁও এলাকায়। সবচেয়ে কম মিরপুর এলাকায়। সবচেয়ে বেশি ছিনতাইকারী ও ডাকাত রয়েছে শাহবাগ, ভাটারা ও শেরেবাংলানগর থানা এলাকায়। আর সবচেয়ে কম ছিনতাইকারী ও ডাকাতের নাম তালিকাভুক্ত রয়েছে দক্ষিণখান, উত্তরখান ও উত্তরা পূর্ব থানা এলাকায়।

ডিএমপি সূত্র জানায়, ঢাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন এলাকায় টহল বাড়ানো হয়েছে। ঢাকার প্রতিটি থানার ওসিদের এ বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। ছিনতাই-ডাকাতি প্রতিরোধে বিশেষ অভিযান চলছে। ডিএমপির আটটি অপরাধ বিভাগের (ক্রাইম) প্রতিটি এলাকায় প্রতিদিন রাত ৮টার পর থেকে পরদিন ভোর পর্যন্ত এই বিশেষ অভিযান চালানো হচ্ছে। যে এলাকায় ছিনতাই-ডাকাতি হবে সেই এলাকার ওসিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ডিএমপি কমিশনার মো. সাজ্জাত আলী বলেন, ‘বিভিন্নভাবে আমাকে জানানো হয়েছে, ছিনতাই বেড়েছে। ছিনতাই প্রতিরোধে ডিবি ও থানা-পুলিশকে সক্রিয় করা হয়েছে।’

প্রকাশ্যে ছিনতাই, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, দখলবাজি, অপহরণসহ নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে রাজধানীকেন্দ্রিক ডাকাতি, ছিনতাই কেন বেশি ঘটছে, সে বিষয়ে পুলিশের কাছ থেকে কোনো ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি। আবার ডিএমপিরও এসব অপরাধ নিয়ে গবেষণা না থাকায় সুনির্দিষ্ট করে কারণগুলোও বলা যাচ্ছে না।

তবে পুলিশ মনে করছে, আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে পুলিশ। সারা দেশে পুলিশের কার্যক্রমে আগের চেয়ে উন্নতি হয়েছে। ফলে পরিস্থিতি আগের চেয়ে ভালোর দিকে যাচ্ছে। বর্তমানে দেশের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে যৌথ বাহিনী অভিযান চালাচ্ছে। তারা আইন-শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

হতাহত যারা

সম্প্রতি পুরান ঢাকার শ্যামবাজার এলাকার একটি গ্যারেজ থেকে রিকশা নিয়ে বের হওয়া মো. আনোয়ার নামের একজনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাকে ছিনতাইকারীরা হত্যা করেছে বলে দাবি করে তার চাচাতো ভাই ফিরোজ মিয়া বলেন, ‘রাতে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালানোর জন্য বের হন আমার ভাই মো. আনোয়ার। সকালে জানতে পারি, ছিনতাইকারীরা তাকে হত্যা করে অটোরিকশাটি নিয়ে গেছে।’

তিনি জানান, আনোয়ার শ্যামবাজার এলাকায় একাই থাকতেন। তিন সন্তান নিয়ে তার স্ত্রী কুলসুম সিরাজগঞ্জের চৌহালি উপজেলার একটি গ্রামে বসবাস করেন। তার মৃত্যুতে পরিবারের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে।

গত ৩ সেপ্টেম্বর রাজধানীর হাজারীবাগে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে এক অটোরিকশাচালক নিহত হন। ভোরে হাজারীবাগের শিকদার মেডিক্যাল কলেজের পাশে এই ঘটনা ঘটে। পরদিন ৪ সেপ্টেম্বর রাজধানীর দারুসসালাম টেকনিক্যাল মোড় এলাকায় ছিনতাইকারীদের গুলিতে রইস ব্যাপারী (৪০) নামের এক মাংস ব্যবসায়ী আহত হন। তার কাছ থেকে ছিনতাইকারীরা তিন লাখ ৩১ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। একই দিন গভীর রাতে পুরান ঢাকার কদমতলী এলাকায় ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে মো. হাশেম (৪৮) নামের এক ব্যক্তি নিহত হন। কদমতলী থানার পুলিশ বলছে, নিহত হাশেম কাঁচামালের ব্যবসা করতেন। গত ২১ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে রাজধানীর গেণ্ডারিয়া এলাকায় ছুরিকাঘাতে মো. জিন্নাহ (৬০) নামের ব্যাটারিচালিত রিকশার চালক খুন হন। গত ২৪ সেপ্টেম্বর রাজধানীর খিলক্ষেতের নিকুঞ্জ এলাকায় ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে মুনতাকিম আলিফ (২৭) নামের এক তরুণের নিহত হন।

ঢাকার বাইরেও বাড়ছে অপরাধ

গত ১৮ সেপ্টেম্বর পাবনার সাঁথিয়ায় সাইদুল ইসলাম (৫৫) নামের এক ভ্যানচালকের গলা কেটে হত্যা করা হয়। পুলিশ জানায়, ভ্যানটি ছিনতাই করতেই তাকে হত্যা করে ধানক্ষেতে লাশ ফেলে রাখা হয়েছিল। ১২ সেপ্টেম্বর গাজীপুরের কাশিমপুরে অস্ত্রের মুখে সোনা ও টাকা ছিনতাই করা হয়। এ সময় ছিনতাইকারীর গুলিতে স্থানীয় এক সবজি বিক্রেতা খুন হন। কাশিমপুর থানার ওসি জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘নিহত সবজি বিক্রেতার পরিচয় নিশ্চিত করা যায়নি। তদন্ত চলছে।’

এর আগে গত ১১ সেপ্টেম্বর গাজীপুরের টঙ্গীতে ছিনতাইকারী সন্দেহে পিটুনিতে এক তরুণ নিহত হন। গত ৩০ সেপ্টেম্বর ময়মনসিংহ নগরের একটি খাল থেকে রবিন মিয়া (২২) নামের এক অটোরিকশাচালকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। গত ২৯ সেপ্টম্বর গাজীপুরে সোনালী ব্যাংকের একটি উপশাখার দুই কর্মকর্তা ও দুই আনসার সদস্যকে কুপিয়ে ও ফাঁকা গুলি ছুড়ে ব্যাংকের সাত লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয় দুর্বৃত্তরা। গত ২৭ সেপ্টেম্বর ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র রাব্বি মিয়াকে (১৩) হত্যা করে ছিনতাইকারীরা। গত ১৩ অক্টোবর গাজীপুরের কাপাসিয়ায় পোলট্রি খামারে মুরগি কিনতে যাওয়ার পথে এক তরুণকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। গত ২৪ সেপ্টেম্বর কিশোরগঞ্জের ভৈরবে চট্টগ্রামগামী আন্ত নগর ট্রেন মহানগর এক্সপ্রেসে ছিনতাই হয়। ভৈরব রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টার মো. ইউসুফ বলেন, ট্রেন থামা অবস্থায় যাত্রীরা ছিনতাইয়ের শিকার হয়।

এসব বিষয়ে র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস বলেন, ছিনতাই-ডাকাতি নিয়ন্ত্রণে র‌্যাবের বিশেষ অভিযান চলছে। অপরাধীদের গ্রেপ্তার করতে মাঠে রয়েছে র‌্যাব।

দুর্বৃত্তদের হাতে অবৈধ অস্ত্রে

লুট হওয়া ও অবৈধ অস্ত্রে সন্ত্রাসীরা বেপরোয়া হয়ে উঠছে। অতি সম্প্রতি দুই দাগি সন্ত্রাসী পুলিশের দিকে ফাঁকা গুলি ছুড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে প্রশাসন নড়েচড়ে বসেছে। তারা লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধারে চলমান অভিযানকে আরো জোরদার করার পাশাপাশি জামিনে মুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী ও জঙ্গিদের দিকেও নজরদারি বাড়িয়েছে।

পুলিশ সদর দপ্তর সূত্র বলেছে, ৫ আগস্ট পূর্বাপর দেশের বিভিন্ন থানা-ফাঁড়িতে হামলা ও লুট করা হয় পাঁচ হাজার ৭৫০টি অস্ত্র। গোলাবারুদ লুট হয়েছে ছয় লাখ ৫১ হাজার ৬০৯ রাউন্ড। এ পর্যন্ত যৌথ অভিযানে চার হাজার ৩৩১টি অস্ত্র জব্দ করা হয়েছে। তবে এখনো লুট হওয়া এক হাজার ৪১৯টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং দুই লাখ ৬৩ হাজার ১৫৩ রাউন্ড গুলির খোঁজ নেই।

logo
প্রকাশকঃ অধ্যাপক ড. জোবায়ের আলম
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ তাপস রায় সরকার
মোবাইল: +৮৮০ ১৭৩৬ ৭৮৬৯১৫
কার্যালয় : বিটিটিসি বিল্ডিং (লেভেল:০৩), ২৭০/বি, তেজগাঁও (আই/এ), ঢাকা-১২০৮
মোবাইল: +880 2-8878026, +880 1736 786915, +880 1300 126 624
ইমেইল: tbtbangla@gmail.com (online), ads@thebangladeshtoday.com (adv) newsbangla@thebangladeshtoday.com (Print)
বাংলাদেশ টুডে কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বে-আইনী।
Copyright © 2025 The Bangladesh Today. All Rights Reserved.
Host by
linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram