মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমান বলেছেন, মাছ চাষ করে ১০২ টন মাছ পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে মিঠা পানির মাছ আহরণে বাংলাদেশ দ্বিতীয় অবস্থানে উন্নীত হওয়া উপলক্ষ্যে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন কথা বলেন।
মৎস্যমন্ত্রী বলেন, গোপালগঞ্জে পৈত্রিক খামারে মাছ চাষ করেন প্রধানমন্ত্রী। গণভবনেও চাষ করেন তিনি। মৎস্য চাষে প্রধানমন্ত্রী আমাদের অনুপ্রেরণা। এমন অনুপ্রেরণায় বংলাদেশ এখন মিঠা পানির মাছ চাষে পৃথিবীতে দ্বিতীয় অবস্থানে। ভবিষ্যতে আমরা উৎপাদনে প্রথম স্থানে যাওয়ার চেষ্টা করবো।
তবে দেশীয় প্রজাতির মাছ চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এ জাতের মাছ বৃদ্ধির জন্য নদী-নালায় পোনা অবমুক্ত করা হয়। কিন্তু কারেন্ট জাল গোটা বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। একটা পোনা পর্যন্ত এই জাল থেকে নিষ্কৃতি পায় না। দেশে আমরা এই জাল উৎপাদন নিষিদ্ধ করেছি। কিন্তু জাল উৎপাদনকারীরা আদালতে গেছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, ক্রাস্টাশিয়ান্স (খোলসযুক্ত মৎস্য জাতীয় প্রাণি যেমন: চিংড়ি, লবস্টার ইত্যাদি) উৎপাদনে বিশ্বে অষ্টম এবং সামুদ্রিক মাছ উৎপাদনে ১৪তম স্থান অধিকার করেছে বাংলাদেশ।
কোরবানির পশুর দাম প্রসঙ্গে মৎস্যমন্ত্রী বলেন, কোরবানির গরুর দাম নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের না। বাজারে চাহিদার চেয়ে ২২ লাখ পশু বেশি আছে। বাজারে ১ কোটি ৩০ লাখ কোরবানির পশু আছে বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, শনিবার (৮ জুন) জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষিবিষয়ক সংস্থার (এফএও) প্রকাশ করা বিশ্বের মৎস্যসম্পদবিষয়ক প্রতিবেদনে উঠে আসে– মিঠাপানির মাছ আহরণে বিশ্বে তৃতীয় থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। এই তালিকায় সবার ওপরে ভারত। এছাড়া, বদ্ধ জলাশয়ে চাষকৃত মাছ উৎপাদনে পঞ্চম স্থানের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে বাংলাদেশ।