তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে দেশের বিশিষ্টজনরা একমত হয়েছেন জানিয়ে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়ে সবাই একমত হয়েছেন। নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন করতে হবে, শক্তিশালী করতে, বিশেষ করে আর্থিক স্বাধীনতা দিতে হবে।’
গতকাল রবিবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সুধী সমাজের নেতাদের সঙ্গে তিনি এসব কথা বলেন। নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন গঠনের পর থেকে অংশীজনদের সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে এ বৈঠক চলছে।
নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সদস্য আবদুল আলীম, জেসমিন টুলী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক আল মাসুদ হাসানুজ্জামান, অধ্যাপক ড. নাসিম আখতার হোসাইন, চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন বৈঠকে অংশ নেন।
বৈঠক প্রসঙ্গে বদিউল আলম বলেন, ‘আজকের আলোচনাটা ভিন্ন ছিল। তাঁরা অনেক অভিজ্ঞ, তাঁরা শিক্ষক, তাঁরা গবেষক, তাঁদের এসব বিষয়ে গভীর জ্ঞান আছে। তাঁদের সঙ্গে আমরা সত্যিকার অর্থে একটা ডায়ালগ করেছি।
আমরা তাঁদের কাছ থেকে জানার চেষ্টা করেছি। আজকের আলোচনা থেকে যেটা সুস্পষ্ট হলো যে সবাই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে একমত হয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘অতীতের নির্বাচন কমিশনগুলো যে কলঙ্কজনক নির্বাচন করেছে বা পাতানো নির্বাচন করেছে, এটা করার মাধ্যমে তাঁরা শপথ ভঙ্গ করেছেন, সংবিধান ভঙ্গ করেছেন; এজন্য তাঁদের বিচারের আওতায় আনার কথা সবাই বলেছে। ‘না’ ভোটের বিধানের ব্যাপারেও তাঁরা সবাই একমত।
রাজনৈতিক দল ও গণতন্ত্রের ব্যাপারেও তাঁরা একমত। রাজনৈতিক দলের মধ্যে যদি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা না হয়, তাহলে রাষ্ট্রে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে—এটা আশা করা যায় না।’
সংস্কার কমিশন প্রধান বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ব্যাপারে অনেক আলাপ-আলোচনা হয়েছে। সরাসরি নির্বাচনের ব্যাপারে অনেকে বলেছেন এবং রাষ্ট্রপতি পদকে আরো শক্তিশালী করার কথা বলেছেন। নারীদের সরাসরি নির্বাচন এবং তাঁদের নির্বাচনী এলাকায় থাকতে হবে এবং প্রত্যক্ষ নির্বাচন করার পক্ষে সবাই মতামত দিয়েছেন।
নির্বাচন কমিশনের আইন পরিবর্তন করতে হবে।’