রামপাল (বাগেরহাট) প্রতিনিধি: বাগেরহাটের রামপালে ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায় থমকে আছে একটি সেতুর নির্মাণ কাজ। ভূমি জটিলতার নিরসন না হলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এ সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ার আশঙ্কা করছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।
জানা গেছে, উপজেলার সদর ইউনিয়নের ঝনঝনিয়া বাজার ও রামপাল উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পূর্ব পার্শ্বে দাউদখালী নদীর তীরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে নির্মাণাধীন আমাদের গ্রাম ক্যান্সার কেয়ার ও হাসপাতালকে ঘিরে একটি সেতু নির্মাণ প্রকল্প হাতে নেয় রামপাল উপজেলা প্রকৌশলী অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষ। চলতি বছরে জুন মাসে সেতুর নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়। তবে গত চার মাসে সেতুর ১০ ভাগ কাজও শেষ হয়নি। সেতু নির্মাতা প্রতিষ্ঠান পিরোজপুরের সরদার এন্টারপ্রাইজের পক্ষ থেকে জানানো হয় আরসিসি গার্ডারের ৭০ মিটার দৈর্ঘ্যের এ সেতু নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ১২ কোটি টাকা।
কর্তৃপক্ষ আরো জানায়, গত জুন মাসে সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হলেও ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায় আটকে আছে এর নির্মাণ কাজ। এ পর্যন্ত ৪৯ মিটার দৈর্ঘ্যরে মাত্র ১৮ টি পাইল ঢালাইয়ের কাজ শেষ হয়েছে। মোট ৪৪ টি পাইল ঢালাই করা হবে বলে জানানো হয়। ভূমি জটিলতার কারনে আপাতত কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে।
নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এ সেতুর কাজ দেখাশুনা করেন শাহিনুর সরদার। তিনি বলেন, সেতুর পশ্চিম পাশের কয়েকটি বসত বাড়ি রয়েছে। ওইসব বাড়িঘর ও সম্পত্তি সরকারিভাবে অধিগ্রহণ না করায় সেতু নির্মাণের প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তিনি আরো বলেন, সেতু নির্মাণের পূর্বে ভূমি অধিগ্রহণ না করায় এমন জটিলতা হয়েছে। এ জন্য আমরা ৩-৪ মাস কাজ বন্ধ রেখেছিলাম। ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতার অবসানের জন্য কর্তৃপক্ষ কাজ শুরু করেছে। এখন বাগেরহাট জেলা প্রশাসনের এল এ শাখায় এ নিয়ে কাজ চলছে। ইতোমধ্যে সার্ভেও করা হয়েছে।
রামপাল উপজেলা এলজিইডির পক্ষ থেকে সেতুর নির্মাণ কাজ দেখাশুনা করেন উপ-সহকারী প্রকৌশলী হাসিবুর রহমান। তিনি বলেন, সেতুর পূর্ব প্রান্তে কাজ শুরু করা হয়েছে। এখন পাইল ঢালাই শুরু হয়েছে। এমন সময় পশ্চিম পার্শ্বের ভূমি অধিগ্রহণ না হওয়ায় সেখানকার বাসিন্দারা কাজ করতে বাধা দিচ্ছে। আর এ কারনে সেতুর কাজ প্রায় বন্ধ রাখার মতো অবস্থা হয়েছে। সমাধানের জন্য চেষ্টা চলছে।
এ ব্যাপারে নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী মোঃ আহসান হাবিব মিশু বলেন, ভূমি অধিগ্রহণ না করায় স্থানীয় লোকজন কাজ বন্ধ করে দিয়েছিল। রামপাল উপজেলা প্রকৌশলী গোলজার হোসেনের সহায়তায় ভূমি অধিগ্রহণ করে তাদের ভূমি, স্থাপনা ও গাছ গাছালির মূল্য পরিশোধ করা হবে এমন আশ্বাস দিলে তারা আবারো কাজ করতে দেয়। তাছাড়া পরিবেশ সনদ পেতে সময় লেগেছে। এখন বাগেরহাট জেলা প্রশাসনের এলএ শাখায় অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানা যায়।