হুমায়ুন কবীর রিন্টু, নড়াইল প্রতিনিধি: নড়াইলে সরকারি ঘর পাইয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে হতদরিদ্র বৃদ্ধার নিকট হতে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে সোনিয়া বেগম (৩৫) নামে এক নারীর বিরূদ্ধে। বহুরূপী প্রতারক সোনিয়া বেগম নড়াইল পৌরসভার কুড়িগ্রাম গো-হাটা বস্তিতে বসবাস করে। সোনিয়ার পিতার নাম আফসার। প্রতারিত বৃদ্ধা হাওয়া বেগম (৯০) একই বস্তিতে বসবাস করেন।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ক্ষতিগ্রস্থ শ্রবণ প্রতিবন্ধি হাওয়া বেগম জানান, প্রতারণার ঘটনায় তিনি পুলিশ সুপারের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ভুক্তভোগী হাওয়া বেগম ও লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, হাওয়া বেগম একজন বয়োবৃদ্ধ শ্রবণ প্রতিবন্ধি হতদরিদ্র মহিলা। তিনি রাস্তা, ডোবা ও ময়লাখানা থেকে বোতল কুড়িয়ে তা বিক্রির মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করেন। তার নিজের থাকার মতো কোনো ঘর নাই। বস্তিতে কোন রকম খুপড়ি ঘরে থাকেন। অভিযুক্ত সোনিয়া বেগমের প্রলোভনে পড়ে একটি সরকারি ঘর পাওয়ার আশায় তাকে সাতাত্তর হাজার টাকা দেন। টাকা নেয়ার পর প্রতারক সোনিয়া তাকে কোনো ঘর দিতে পারে নাই। পরবর্তীতে হাওয়া বেগম তার কাছে টাকা ফেরত চাইলে সে নানা তালবাহানা শুরু করে। আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের নাম ব্যবহার করে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ভুক্তভোগীকে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি প্রদর্শন করে। এলাকার মাদকাসক্ত বখাটে উঠতি বয়সি যুবকদের দিয়ে হুমকি দেয়।
বিষয়টি অনুসন্ধানকালে বস্তি এলাকার লোকজন জানান, সোনিয়া বেপরোয়া জীবন যাপন করে। এলাকার অধিকাংশ সন্ত্রাসীর সাথে তার সখ্যতা। চিহিৃত মাদকাসক্তরা সব সময় তার কাছে আসে। মাঝে মাঝে দু’একজন পুলিশকে তার সাথে ঘনিষ্ঠ ভাবে কথা বলতে দেখা যায়। প্রায়ই সে মানুষের সাথে প্রতারণা ও ব্লাক মেইলিং করে। প্রতিবাদ করতে গেলে মিথ্যা অপবাদ ও মামলা দিয়ে ফাঁসানোর ভয় দেখায়। এসব কারনে কেউ ভয়ে তাকে কিছু বলতে সাহস পায় না।
অভিযুক্ত সোনিয়া তার বিরূদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে তাকে ফাঁসানো হচ্ছে।