ঢাকা
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সন্ধ্যা ৬:৩২
logo
প্রকাশিত : অক্টোবর ১১, ২০২৪

চৌগাছায় অবৈধভাবে বালি উত্তোলন : আবাদী জমি, সড়ক ও বাড়ি ঘর হুমকীর মুখে

মোঃ ইয়াকুব আলী, চৌগাছা (যশোর) প্রতিনিধি: সরকারী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে যশোরের চৌগাছায় আবাদী জমিসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে বালি উত্তোলন করছে বালি খেকোরা। এর ফলে আবাদী জমি ও সড়ক, বসতঘর হুমকীর মুখে পড়েছে। এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামানা করেছেন।

দীর্ঘদিন ধরে বালি খেকো ওই চক্র এই অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে আসছে। এই চক্রটি বেশ শক্তিশালী হওয়ায় স্থানীয়রা ভয়ে তাদের কিছু বলতে সাহস পায় না। এসব বালি খেকোরা বিগত দিনে আওয়ামীলীগের দুর্নীতিবাজ নেতাদের সহোযোগিতায় ওই বালি উত্তোলন করতো।

তবে সরকার বদলে যাবার পর আবারও নতুন মোড়কে সিন্ডিকেট গড়ে তুলে বালি উত্তোলন করা হচ্ছে বলে উপজেলার পাতিবিলা, হায়াতপুরসহ এলাকাবাসী এ অভিযোগ করেছেন। এদের বিরুদ্ধে আইননুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে ওইসব এলাকা ধসে পড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

উপজেলার চৌগাছা-কোটচাঁদপুর সড়কে পাতিবিলা বাজার সংলগ্ন সড়কে যতদুর চোখ যায় দেখা যাবে পাশে বালি উত্তোলনের বড় বড় গর্ত ও জলাকার। এরআগে ওইসব স্থান ছিল সমতল ভূমি। কিন্তু এখন বালি উত্তোলনের কারণে সেখানে এখন বড় বড় গর্ত ও জলাকার হয়েছে। আশপাশের ফসলি জমি, বসতবাড়ি হুমকির মুখে পড়ছে। ওই বালি তোলা বন্ধ না হলে না আবাদী জমি দিন দিন আরও হ্রাস পাবে। একই সাথে পাকা সড়কটি হুমকীর মুখে পড়েছে।

এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বালি তোলার কারণে প্রায় ৩০ বিঘা সমতল ভূমি জলাকার হয়ে গেছে। জলাকারের মালিক ও বালি বিক্রেতা বিশারত হোসেন বলেন, গত ১৫ বছরে তিনি আওয়ামী লীগের লোকজনের কারণে বালি তুলতে পারেননি। এর আগে যারা তুলেছে তারা বিগত সরকারের দুর্নীতিবাজ কিছু নেতার সহযোগিতায়। তবে এখন তারা এলাকায় নেই। আমি অনেক ক্ষতিগ্রস্ত। তাই বলি তুলতে শুরু করেছি।

এলাকাবাসী বলেন, বিশারত হোসেন বছরের পর বছর বালি উত্তোলন করে বিক্রি করে আসছে। স্থানীয় বাসিন্দা, হোসেন আলী, আলা সরদার, আশাদুল ইসলা, শহিদুল ইসলামসহ আরও অনেকে বলেন, কতিপয় ব্যক্তি অবৈধভাবে বালি তুলে এলাকা চরম হুমকির মুখে পড়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামানা করেছেন তারা।

এ বিষয়ে পাতিবিলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান লাল বলেন, অবৈধভাবে বালি তোলার কারণে এলাকা এখন হুমকির মুখে পড়েছে, এর প্রতিকার হওয়া প্রয়োজন।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুস্মিতা সাহা বলেন, বিষয়টি আমি খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেব। তবে সবার সহোযোগিতা প্রয়োজন।

সর্বশেষ
logo
প্রকাশকঃ অধ্যাপক ড. জোবায়ের আলম
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ তাপস রায় সরকার
মোবাইল: +৮৮০ ১৭৩৬ ৭৮৬৯১৫
কার্যালয় : বিটিটিসি বিল্ডিং (লেভেল:০৩), ২৭০/বি, তেজগাঁও (আই/এ), ঢাকা-১২০৮
মোবাইল: +880 2-8878026, +880 1736 786915, +880 1300 126 624
ইমেইল: tbtbangla@gmail.com (online), ads@thebangladeshtoday.com (adv) newsbangla@thebangladeshtoday.com (Print)
বাংলাদেশ টুডে কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বে-আইনী।
Copyright © 2024 The Bangladesh Today. All Rights Reserved.
Host by
linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram