শেখ দীন মাহমুদ, পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি: খুলনার পাইকগাছার বোয়ালিয়ায় কপোতাক্ষ নদ থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবাধে ইট ভাটার বালু ও মাটি উত্তোলনে চরম হুমকিতে রয়েছে বোয়ালিয়া ব্রীজসহ ৮ নং রাড়ুলী ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম।
প্রতিবেদনকালে সরেজমিনে স্থানীয়রা জানায়, প্রায় প্রতিবছরই রাড়ুলীর বোয়ালিয়া জেলে পল্লীসহ আশপাশের এলাকা কপোতাক্ষের বাঁধ ভেঙ্গে তলিয়ে যায়। সর্বশেষ গত ১৯ সেপ্টেম্বর রাড়ুলী ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় কপোতাক্ষ নদের বেঁড়িবাধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে। যা স্থানীয় প্রায় দেড়শতাধিক লোকজন স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে বাঁধটির মেরামত করে। সর্বশেষ এমন পরিস্থিতিতেও ব্রীজ সংলগ্ন এলাকায় ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের মুখে চরম হুমকিতে রয়েছে জনগুরুত্বপূর্ণ ব্রীজটিসহ আশপাশের বিস্তীর্ণ অঞ্চল।
স্থানীয়রা জানায়, মিনারুল ইসলাম ও ডালিম সরদার নামে স্থানীয় দু' প্রভাবশালী ব্যক্তি দীর্ঘদিন যাবত ১৫৯ নং সুন্দরবন আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় এসএমএম ব্রিকস ও এসবি ব্রিকস নামের দু'টি ইটভাটা পরিচালনা করে আসছেন। আর ওই দুটি ইটভাটার প্রয়োজনীয় সকল বালু ও মাটি এযাবতকাল কপোতাক্ষ নদের বোয়ালিয়া এলাকায় ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে উত্তোলন করে আসছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় ইট ভাটা পরিচালনায় একদিকে যেমন কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ক্ষতি হচ্ছে অপরদিকে অনবরত ড্রেজার দিয়ে বালু ও মাটি উত্তোলনের ফলে চরম হুমকিতে রয়েছে জনগুরুত্বপূর্ণ বোয়ালিয়া ব্রীজটিসহ বাঁধ ভেঙ্গে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্খা করছেন স্থানীয়রা।
এব্যাপরে অভিযুক্তদের একজন মিনারুল ইসলাম বলেন, তার নিজের জমি থেকে তিনি নিজে মাটি উত্তোলন করছেন। তার দাবি তার ক্রয়কৃত সম্পত্তি ভেঙে নদীতে চলে গেছে, আর সেখানেই তিনি ড্রেজার মেশিন বসিয়ে মাটি উত্তোলন করেন।
উল্টো তিনি অভিযোগ করেন, শুধু তিনি নয় আরও অনেক ভাটা মালিকরাই এভাবে নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে বালু ও মাটি উত্তোলন করে থাকেন।
অভিযুক্তদের অপরজন ভাটা মালিক ডালিম সরদার জানান, তিনিও তার ক্রয়কৃত জমি থেকে বালু উত্তোলন করেন। আর নিজ জমি থেকে বালু বা মাটি উত্তোলন কোন অপরাধ নয় বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহেরা নাজনীন বলেন, ইতোমধ্যে তিনি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হয়েছেন। দ্রুত সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও তিনি আশ্বস্ত করেছেন।