গাজায় ইসরাইলি বিমান হামলায় নিহত হন আলজাজিরার দুই সাংবাদিক। বুধবার নিহত দুই সাংবাদিক হলেন- ইসমাইল আল-গউল ও তার ক্যামেরাপারসন রামি আল-রিফি।
ইসমাইল আল-গউলের স্মরণে আলজাজিরা বলছে, যখন বিমান হামলার ভয়ে সবাই নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজ করত, ঠিক সে সেসময় ‘মৃত্যুভয়’ উপেক্ষা করে খবর সংগ্রহে নিয়োজিত থাকতেন তিনি।
আল-গউলের মৃত্যুতে শ্রদ্ধা জানিয়ে ইনস্টাগ্রামে তার সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেছে আলজাজিরা।
গাজা শহরের উত্তরে আল-শাতি শরণার্থী শিবিরে ১৯৯৭ সালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন আল-গউল। আলজাজিরা বলছে, গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলের আল-শিফা হাসপাতালে গত মার্চে গ্রেফতার করা হয়েছিল আল-গউলকে। মুক্তি পাওয়ার আগে কোনো সংগঠনের সঙ্গে সম্পর্ক থাকার ইসরাইলের মিথ্যা দাবিকে অস্বীকার করেছিলেন তিনি।
গাজার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতক ডিগ্রি শেষে স্থানীয় আলরিসালা এবং প্যালেস্টাইনের সংবাদপত্রের সংবাদদাতা হিসাবে সাংবাদিকতায় শুরু করেন গউল। পরবর্তীকালে গাজার বেশ কয়েকটি মিডিয়া প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে টেলিভিশনে কাজ করার দিকে মনোনিবেশ করেছিলেন তিনি।
গত ৭ই অক্টোবরের হামলার পর যুদ্ধের কঠিন সময়ের প্রথমে টেলিফোন কথোপকথনের মাধ্যমে এবং পরে টেলিভিশন প্রতিবেদনের মাধ্যমে আলজাজিরায় সংবাদ পরিবেশন করেন আল-গউল।
আল-গউলের স্বরণে আলজাজিরা আরও লিখেছে, ‘আল-গউল গাজা শহরের দখলদার বাহিনীর কারণে সৃষ্ট একটি বড় শূন্যতা পূরণ করেছিলেন। যেখানে স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক মিডিয়া প্রায় কর্মী সংকটে ভুগেছে’।
‘আসন্ন বিপদ সত্ত্বেও, মানুষ যখন দখলদারিত্বের খোলস থেকে পালানোর উপায় খুঁজছিল, তখন আল গউল মৃত্যুর মুখ থেকে তথ্য অনুসন্ধান করছিলেন।’
সাংবাদিকদের অধিকার ও নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করা যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কভিত্তিক সংগঠন কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টসের (সিপিজে) মতে, গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ইসরাইলি হামলায় অন্তত ১১১ জন সাংবাদিক ও সংবাদকর্মী নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে গাজার গণমাধ্যম দপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, এ সংখ্যা কমপক্ষে ১৬৫।