সবশেষ লোকসভা নির্বাচনে মুর্শিদাবাদের বহরমপুর আসন থেকে ভোটে জিততে পারেননি কংগ্রেসের পশ্চিমবঙ্গ সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। এর পরেই তার পদত্যাগের জল্পনা ছড়ায়। কিন্তু এবার পদত্যাগ নয়, অধীরকে রাজ্য সভাপতির পদ থেকেই সরিয়ে দিল জাতীয় কংগ্রেস।
জানা গেছে, পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সভাপতি পদে অধীর চৌধুরীর জায়গায় স্থলাভিষিক্ত হয়েছে শুভঙ্কর সরকার। রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ইন্ডিয়া টুডে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার গভীর রাতে চিঠি দিয়ে অধীর চৌধুরীকে রাজ্য কংগ্রেসের সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেয় জাতীয় কংগ্রেস। চিঠিটি দিয়েছেন জাতীয় কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কে সি বেণুগোপাল।
২০২৬ সালে পশ্চিবঙ্গে বিধানসভা ভোট। তার আগে পশ্চিমবঙ্গে দল পুনর্গঠন করতে চায় কংগ্রেস। তারই অংশ হিসেবে নতুন নেতৃত্ব নির্ধারণ করা হলো।
পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে এই রদবদল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। নতুন সভাপতি শুভঙ্কর বরাবরই রাহুল গান্ধীর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। এছাড়া তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে কংগ্রেসের সম্পর্কের সমীকরণ এবার বদলাতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।
কারণ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা ব্যানার্জির কট্টর সমালোচক ছিলেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী। বিজেপিবিরোধী ‘ইন্ডিয়া’ রাজনৈতিক জোটের শরিক তৃণমূল। জোটসঙ্গী হওয়া সত্ত্বেও মমতার বিভিন্ন নীতির সমালোচনা করে আসছেন অধীর চৌধুরী। ধারণা করা হচ্ছে, অধীর চৌধুরী এবং মমতা ব্যানার্জির মুখোমুখি অবস্থান স্বস্তির নয়। তাই তাকে রাজ্য কংগ্রেসের সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হলো।
অধীর চৌধুরীর জন্ম ১৯৫৬ সালে। তিনি একটানা ২৫ বছর লোকসভার সদস্য ছিলেন। ২০২০ সালে রাজ্য কংগ্রেসের সভাপতি সোমেন মিত্রর মৃত্যুর পর তার স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন এই ঝানু রাজনীতিবীদ।