লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যার নির্দেশ নিউইয়র্ক থেকে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন। খবর আল জাজিরার।
মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ভুলে যাবে না যে এই সন্ত্রাসী হামলার নির্দেশ নিউইয়র্ক থেকে এসেছিল। নাসরুল্লাহর হত্যাকাণ্ডে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা অস্বীকার করা সম্ভব নয়।
এর আগে, লেবাননের রাজধানীতে ইসরায়েলের বিমান হামলায় হাসান নাসরুল্লাহের মৃত্যু হয়। নিহতের বিষয়টি প্রথমে ইসরায়েল দাবি করে। পরে হিজবুল্লাহ নিজেই বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করে। হাসান নাসরুল্লাহ ৩২ বছর ধরে এই সংগঠনের নেতৃত্বে ছিলেন।
এদিকে, হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যার পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলছেন, নাসরুল্লাহ একজন সন্ত্রাসী ছিলেন। নাসরুল্লাহর হত্যায় মধ্যপ্রাচ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য পরিবর্তন করতে পারে।
অন্যদিকে, বিশ্বের মুসলিমদের ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামার ডাক দিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি।
এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, আপনারা লেবাননের পাশে দাঁড়ান। দুষ্ট শাসনের (ইসরায়েল) বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গর্বিত হিজবুল্লাহ আমাদের বন্ধু। দখলদাররা হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যা করেছে। হিজবুল্লাহর নেতৃত্বে এই অঞ্চলের ভাগ্য নির্ধারণ হবে।
উল্লেখ্য, গত বছরের অক্টোবরে গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে মিত্র হামাসের সমর্থনে ইসরায়েলে নানা সময় ছোট আকারে হামলা করেছে হিজবুল্লাহ। বলা হয়, হিজবুল্লাহর প্রধান সমর্থক ও অস্ত্র সরবরাহকারী দেশ ইরান।
চলতি বছরের মে মাসে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় মারা যান। যদিও অনেকের ধারণা এর পেছনে ইসরায়েলের হাত রয়েছে। রাইসির মৃত্যু এক মাস পরই (জুলাই) ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে ‘গুপ্ত হামলা’ চালিয়ে হত্যা করে ইসরায়েল। এরপর থেকেই ইসরায়েলে ধারাবাহিক হামলা শুরু করে হিজবুল্লাহ।