আলেপ্পোর পর সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলের শহর হামাও দখলে নিয়েছে দেশটির বিদ্রোহীরা। এ পরিস্থিতিতে আলোচনা করতে বৈঠকে বসতে যাচ্ছে সিরিয়া, ইরাক ও ইরান।
বৃহস্পতিবার ইরাকের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
রয়টার্স জানিয়েছে, হামা থেকে সরকারি বাহিনীর সদস্যদের প্রত্যাহার করার পর বিদ্রোহীরা ঘোষণা দেয় শহরটি তাদের দখলে। ফলে অল্প সময়ের ব্যবধানে দুই গুরুত্বপূর্ণ শহর হারিয়ে বড় ধরনের চাপে পড়েছে দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ এবং তার মিত্রদেশ রাশিয়া ও ইরান।
গত সপ্তাহ থেকে সিরিয়ান সরকারি বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের তুমুল সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে টিকে থাকতে না পেরে সরকার বাহিনী দুই শহরে থেকে চলে গেছে।
এদিকে পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে গতকাল বৃহস্পতিবার ইরাকের রাজধানী বাগদাদে গেছেন সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাশাম সাববাগ। ইরাকের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমের (আইএনএ) খবরে বলা হয়েছে, আজ শুক্রবার ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও ইরাকে যাবেন।
ইরাকি এবং সিরিয়া সূত্র জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে সহযোগীতায় ইরাকি কিছু যোদ্ধা চলতি সপ্তাহে সিরিয়াতে ঢুকে পড়েছে। এছাড়া ইরাক-ইরান সমর্থিত আধাসামরিক বাহিনী হাশদ আল-শাবি সিরিয়া সীমান্তে জড়ো হয়েছে। বলা হচ্ছে, ইরাকের সুরক্ষায় এই বাহিনী অত্যন্ত কঠোরতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছে।
এদিকে আল আরাবিয়া সূত্রে জানা গেছে, সিরিয়া সরকারের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন হিজবুল্লাহপ্রধান শেখ নাইম কাসেম। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করা একটি রেকর্ড বক্তৃতায় এ কথা বলেন তিনি।
তবে কাসেম সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে কীভাবে সমর্থন করবেন সে বিষয়ে বিস্তারিত কোনো বিবরণ দেননি। তিনি বলেছেন যে, ইরান-সমর্থিত যোদ্ধারা যা করতে পারে তা করবে। এ সময় সিরিয়ায় সশস্ত্র বিরোধীদের আক্রমণকে ‘আমেরিকা ও ইসরায়েলের পৃষ্ঠপোষকতায়’ আগ্রাসন বলে অভিহিত করেছেন হিজবুল্লাহপ্রধান।