সিরিয়ায় অতি নাটকীয়ভাবে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর দেশ গড়ার যে সুযোগ এসেছে তা কাজে লাগাতে দেশটির অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। রোববার মাত্র দুই সপ্তাহের কম সময়ের মধ্যে স্বৈরশাসক আসাদের পতন নিশ্চিত করেছে বিদ্রোহীরা। গতকাল বিদ্রোহীরা দেশটির রাজধানী দামেস্কে প্রবেশ করে সিরিয়াকে স্বৈরাচার মুক্ত ঘোষণা করেন। এরপর হোয়াইট হাউসের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট এ কথা বলেছেন। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এতে বলা হয়, সিরিয়ায় অল্প সময়ের মধ্যে বিশাল পরিবর্তনের পর এই ইস্যুতে মন্তব্য করতে গিয়ে বাইডেন বলেছেন, শেষ পর্যন্ত আসাদ সরকারের পতন হয়েছে। হোয়াইট হাউসের বাইরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। মাত্র ১২ দিনের মাথায় বিদ্রোহীরা আসাদ সরকারের পতন ঘটানোয় নতুন করে ভাবতে বাধ্য হবে বাইডেন এবং তার প্রশাসনকে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, সিরিয়া ঝুঁকি এবং অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে। গত কয়েক বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো রাশিয়া, ইরান অথবা হিজবুল্লাহ কেউই আসাদ সরকারের জন্য উল্লেখযোগ্য কোনো ভূমিকা পালন করেনি। তিনি আরও বলেন, বেশ কয়েক বছর ধরে আসাদ সরকারকে কঠোর সমর্থন দিয়ে আসছিল ইরান, হিজবুল্লাহ এবং রাশিয়া। কিন্তু গত সপ্তাহে তাদের সেই সমর্থন খসে পড়েছে। কেননা আমি প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে তারা এখন অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়েছে। ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন বাইডেন।
এমন পরিস্থিতিতে সিরিয়া অত্যন্ত ঝুঁকি এবং অনিশ্চয়তার মুখোমুখি হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাইডেন। তিনি সিরিয়ার পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাইডেন বলেন, সিরিয়ার প্রশ্নে সবাই যখন ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন তখন যুক্তরাষ্ট্র দেশটির অংশীদার এবং জনগণের সঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে যেন তারা ঝুঁকি এড়িয়ে সুযোগ কাজে লাগাতে পারে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ওয়াশিংটন দামেস্কের বিরুদ্ধে কোনো নীল নকশা পরিকল্পনা প্রণয়ন করেনি। কেননা সিরিয়ার জনগণই তাদের ভবিষ্যৎ ঠিক করবে বলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উত্তর করেন ওই কর্মকর্তা।